অধ্যক্ষের জালিয়াতি: নাইক্ষ্যংছড়িতে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না ১৭ শিক্ষক-কর্মচারী

fec-image

প্রতিটি ক্রিয়ার একটি সমান প্রতিক্রিয়া আছে। নিজের সেই পরিণতি ভোগ করছেন নানা কারণে আলোচনায় থাকা অধ্যক্ষ সৈয়দ হোসাইন। যে কাজেই হাত দিচ্ছেন সেখানেই বির্তকের জন্ম দিচ্ছেন তিনি। এই অধ্যক্ষের জালিয়াতির কারনে (জুন-জুলাই) মাসের বেতন ভাতা ও ঈদ বোনাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইনষ্টিটিউট আলীম মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা।

এদিকে মাদরাসা সভাপতি ও অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতার বিল ছাড় দিতে আদালতে আশ্রয় নিয়েছেন অধ্যক্ষ সৈয়দ হোসাইন। গত ২৫ আগষ্ট বান্দরবান যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি আবেদন করেন তিনি। তবে সেই আবেদনের বিরুদ্ধে সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী ও মাদরাসার শিক্ষানুরাগী সদস্য মোহাম্মদ উল্লাহ পক্ষভুক্ত বিবাদী হওয়ার জন্য আরেকটি আবেদন করেছেন। আদালত দুটি আবেদন আমলে নিয়ে আগামী ২৫ আগষ্ট পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য্য করেছেন।

এই অবস্থায় অধ্যক্ষ সৈয়দ হোসাইন ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’ অবস্থা দাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মাদরাসা, কমিটির সদস্য, শিক্ষক-কর্মচারীরা। এই প্রসঙ্গে, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও মাদরাসা কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্য মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন- অবৈধ কমিটিকে বৈধ করার জন্য এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পত্র জালিয়াতির তথ্য ঢাকতে অধ্যক্ষ কৌশল চালাচ্ছে। মাদরাসার বৃহৎ স্বার্থ ও সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের জন্য বির্তকিত অধ্যক্ষের অপসারণ চান তাঁরা।

মদিনাতুল উলুম মডেল ইনষ্টিটিউট আলীম মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবু বক্কর, মাওলানা হাবিবুল্লাহ, তাজিম উদ্দিন, মো: ইছহাক, ছৈয়দুল বাশার, মাওলানা আবু বক্কর ছিদ্দিক, মোক্তার আহমদ, রোখসানা আক্তার বেগম, ইজ্জল আলী, গিয়াস উদ্দিন, সাখাওয়াত হোসেন বলেন- ‘ ব্যংকে অধ্যক্ষ জালিয়াতি পত্র জমা দেওয়ার কারণে অপরাধের দায় ভোগ করছে শিক্ষক-কর্মচারীরা’। জেলা প্রশাসকের ওই পত্রটি জালিয়াতির কারণে ঈদ মৌসুমে আমরা বেতন ভাতা পাচ্ছি না এটি সাময়িক সমস্যা। তবে বির্তকিত ও দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের জালিয়াতির বিষয়ে আদালত সঠিক সিদ্ধান্ত দিবেন বলে মনে করেন তাঁরা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অধ্যক্ষ সৈয়দ হোসাইন, মদিনাতুল উলুম মডেল ইনষ্টিটিউট আলীম মাদরাসা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন