অবরুদ্ধ অসহায় এক পরিবারের আর্তনাদ

উখিয়া প্রতিনিধি:

অবরুদ্ধ এক অসহায় পরিবারের আর্তনাদ কেউ শুনছে না। বিচারের বাণী নিয়ে স্কুল পড়ুয়া দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে প্রতিদিন হতভাগা মা নিলু রাণী বড়–য়া প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ালেও সমাধানের পথ খুজেঁ দিচ্ছে না।

প্রভাবশালী অমিত বড়–য়া ক্ষমতা দেখিয়ে যাতায়াতের একমাত্র পথ বন্ধ করে দেওয়ায় বর্তমানে  পরিবারটি অবরুদ্ধ হয়ে মানবিক জীবণ-যাপন করছে।

জানা যায়, উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মরিচ্যা বেনুবন বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ড্রাইভার বাবুল বড়–য়ার স্ত্রী নিলু রাণী বড়–য়া এক খণ্ড পিএফ জায়গায় ঘর তৈরী করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে।

অভিযোগে প্রকাশ, একই এলাকার রায় মোহন বড়–য়ার ছেলে অমিত বড়–য়া ওই এলাকায় পিএফ জায়গা ক্রয় করে প্রথমে বাড়ি তৈরি পরবর্তীতে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে। ওই সময় তিনি ক্ষমতা দেখিয়ে জোরপূর্বক চলাচলের পথটি বন্ধ করে দেয়।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয় বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করার সময় যাতায়াতের একমাত্র চলাচল পথটি বন্ধ করে দেয়। ফলে মরিচ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র অনুজ বড়–য়া ও মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সুপ্রভা বড়–য়া অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী সহ পুরো পরিবারের সদস্যরা যাতাযাত করতে না পেরে গৃহবন্দী হয়ে মানবিক জীবনযাপন করছে।

এ ব্যাপারে, সুষ্ঠ বিচার ও স্বাভাবিক চলাচলের আকুল আবেদন নিয়ে হতভাগা মা নিলু রাণী বড়-য়া গত ২৯-০৮-২০১৮ইং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী, গত ০৫-০৪-২০১৮ইং থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের ও গত ২০-১১-২০১৮ইং  কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নিকট শরণাপন্ন হন।

খোজখবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি)’কে নির্দেশ দেন। এ ছাড়াও উখিয়া থানা কতৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করার জন্য স্থানীয় মেম্বার এম. মনজুর আলমকে মিমাংশা করার জন্য বলা হয়।

ভূক্তভোগি নিলু রাণী জানান, বিগত ৫/৬ মাস ধরে প্রশাসন থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছি। অদ্যবধি পর্যন্ত চলাচলের পথটি কেউ খুলে দেয়নি। আজ স্কুল পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পুরো পরিবার এখন অবরুদ্ধ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন