Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

আদা-হলুদ চায়ের শক্তিশালী গুণাগুণ

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

চায়ের জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে ঘাঁটা ঘাঁটি করলে ইতিহাসের পাতাটা চীনের দিকে হেলে পড়লেও সারাবিশ্বেই এখন সমান জনপ্রিয়। রঙ চা, দুধ চা, আদা চা, সবুজ চা (গ্রিন টি), নিম চা, আরও নানা রকমের চা প্রচলিত থাকলেও কিছু চা রয়েছে যেগুলোকে এক কথায় চায়ের মধ্যে ফেলতে না পারলেও প্রস্তুত কৌশল ও পান করতে হয় চায়ের মতো, আবার রয়েছে অনেক রকম ভেষজ গুণ। সেরকম একটি চা হলো আদা-হলুদ চা।

এই চায়ে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এছাড়াও রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার এবং জিঙ্কের মতো খনিজ। নিয়মিত এই চা পানে প্রদাহজনিত সমস্যা দূর হয়, মনোযোগ বাড়ে, ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা দূর হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি আরও অনেক রকমের উপকার হয়।

যেভাবে বানাবেন হলুদ-আদা চা:

উপকরণ: ১ কাপ পানি, ১ চা চামচ আদা বাটা, এক চা চামচ হলুদ বাটা, এক চা চামচ মধু অথবা লেবুর রস, এক চা চামচ গোলমরিচ,

বানানোর পদ্ধতি: পানি ভাল করে ফুটিয়ে আদা এবং হলুদ বাটা দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে কিছুক্ষণ ফুটাতে হবে। এবার ১০-১৫ মিনিট রেখে ছেঁকে নিন। এবার গোল মরিচ, লেবুর রস, মধু মেশালে তৈরি হয়ে গেল হলুদ-আদা চা।

জেনে নিই হলুদ- আদা চায়ের পুষ্টিগুণ:

হার্ট ভাল থাকে: অনেকগুলি সমীক্ষায় দেখা গেছে আদা এবং হলুদের মধ্যে উপকারি বেশ কিছু উপাদান রয়েছে, যা কোলোস্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখে। প্রসঙ্গত, এলডিএল কোলোস্টেরল মূলত ধমনী এবং রক্তনালীতে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে হার্টের সমস্যা দেখা যায়, যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে: আদা মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিতে দারুণ কার্যকরী। আর হলুদ এবং আদা দিয়ে তৈরি এই চায়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় স্নায়ুর কাজে সম্পন্ন ঘটে। এর ফলে, মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করে মস্তিষ্কের টিস্যুকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। ফলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত ছাপ পড়ে না।

ব্যথা নাশক: হলুদ-আদা মিশ্রিত চায়ের মধ্যে কারকিউমিন এবং জিঞ্জেরল নামক দুটি উপাদান থাকে, যা খুব সহজেই যে কোনও ব্যথা দূর করতে পারে। এছাড়াও এই দুই উপাদান প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করতে পারে, যা হাঁটু, কনুই, কাঁধ, কোমর ইত্যাদির ব্যাথা দূর করে। সেই সঙ্গে মাংসপেশির ব্যাথা এবং টিস্যুর কোনও সমস্যা থাকলে তাও কমায়।

ক্যান্সার রোধ করে: আজকাল ক্যান্সার যেন ঘরে ঘরে। অথচ তার চিকিৎসা যেমন খরচাসাপেক্ষ, তেমনি একে পুরোপুরি কাবু করাও মুশকিল। তাই আগে থেকে কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে তা আমাদের জন্যই ভাল। আদা এবং হলুদ, ক্যান্সার রোধ করতে যে সক্ষম। আদা নানা ধরণের ক্যান্সারের উপসর্গ দূর করতে পারে। বিশেষ করে পেটের ক্যান্সার। অন্যদিকে হলুদও ক্যান্সার রোধে দারুণ কাজ করে এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: হলুদ এবং আদা-এই দুই উপকরণ জীবাণুনাশক, ছত্রাকনাশক এবং সংক্রমণবিরোধী হওয়ায় এটি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথার মতো সমস্যাগুলোকেও দূর করতে পারে।

ত্বকের যত্নে: ত্বকের যত্নে বেশ কাজ দেয় হলুদ। যেমন- ব্রণ দূর করে, দাগ ছোপ দূর করে, চুলকানি দূর হয়। এছাড়াও ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। হলুদ-আদা চায়ের মধ্যে জীবাণুনাশক উপাদান থাকায় এটি ত্বককে যে কোনও রকম সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও, এই চা নতুন কোষ তৈরি হতে সাহায্য করে, ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করে এবং ত্বককে সজীব রাখে।

হজমে সাহায্য করে: আদার মধ্যে প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করার মতো উপাদান উপস্থিত রয়েছে, যা পেট ভাল রাখতে সাহায্য করে, এছাড়াও, বমিভাব দূর করতে পারে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি পেট ব্যাথা, পেট ফুলে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও দারুণ কাজে দেয়। একানেই শেষ নয়, হলুদ-আদা চা পেটের যে কোনও সমস্যা দূর করে, পেটের ভিতরে কোনোরকম ঘা হতে দেয় না, গ্যাস, অম্বল প্রভৃতি রোধ করতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।

ডায়াবেটিস রোধ করতে পারে: হলুদ-আদা চা ডায়াবেটিস রোধ করতে দারুণ কাজে দেয়। এই চা পান করলে এর দুর্লভ উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে। ফলে, ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা দূর হয়। একই সঙ্গে ইনসুলিন এবং গ্লকোজের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

 

তথ্য: সংগৃহীত

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন