কল্পনা চাকমা অপহরন: ১৬ বছরেও ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হয়নি

পার্বত্য নিউজ ডেস্ক:

বুধবার হিল ইউমেন্স ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমার অপহরনের ১৭তম প্রতিবাদ দিবস। দীর্ঘ ১৬ বছরেও দেশ-বিদেশের বহুল আলোচিত এই অপহরণ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাদিত হয়নি। আদালত সিআইডি দেয়ার চুড়ান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে পুনঃ তদন্তের জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিউ লাইল্যাঘোনা গ্রাম থেকে অজ্ঞাতনামা দৃস্কৃতকারীরা অপহরন করে নিয়ে যায়। অবশ্যই কল্পনা চাকমার পরিবার ও তার সংগঠনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর একজন লেফটেন্যান্টকে দায়ী করেছিল।

সে সময় অপহরনের প্রতিবাদে তিন পার্বত্য জেলায় হরতাল চলাকালে বাঘাইছড়িতে পুলিশের গুলিতে ৪ জন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কর্মী নিহত হয়। সরকার জনমতের চাপের মুখে একটি বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করলেও রিপোর্ট আজও প্রকাশিত হয়নি।
জানা গেছে, হিল ইউমেন্স ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরনের ঘটনার পর বাঘাইছড়ি থানায় মামলা দায়ের ঘটনার বহু দিন পর ২০১০ সালের ২১ মে পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে পেশ করে। এতে মামলার বাদী ও অপহৃতার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা নারাজি দাবি করে ঘটনার পুনঃতদন্তের দাবি জানান।
আদালত পুনঃরায় ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমার দেয়ার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। এতে গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর  মামলা চূড়ান্ত প্রতিবেদন রাঙামাটি জেলা মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের কাছে দাখিল করেন। এই প্রতিবেদনেও বিচার প্রার্থী সন্তুষ্ট না হওয়ায় প্রতিবেদনে না রাজির জানিয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন।

আাদালত গত ১৬ জানুয়ারী মামলার শুনানীর ধার্য্য করেন। এতে আদালত সিআইডিএর দেয়া প্রতিবেদনটি যথাযথ হয়নি তা প্রত্যাখান করে জেলা পুলিশ সুপারকে অপহরনের সঠিক রহস্য উদঘাটন, আসামীদেরকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন রেখে জিজ্ঞাসাবাদ ও নিরপেক্ষ তদন্ত অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশ দেন। এবং তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।  তবে ইতোমধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের কাছে দু’দফা সময় বৃদ্ধি করেছেন এবং আগামী ৩০ জুলাই তদন্ত প্রতিদেন জমার দেয়ার সময় নির্ধারিন করা হয়েছে।

   
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট জুয়েল দেওয়ান জানান, আদালতের কাছে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ সুপার অবহিত করেছেন তদন্ত কার্যক্রম চলছে এবং তদন্তের সময় চেয়েছেন। তবে আদালতের কাছে এখনো তদন্তের বিশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, কল্পনা চাকমা অপহরন মামলাটি একটি  স্পষ্টকাতর মামলা। দীর্ঘ ১৫ বছরের ঘটনাকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলার তদন্ত বিলম্বিত হতে পারে। এরপরও যেন মামলার তদন্তের প্রৃকত রহস্য উন্মোচিত হয় এবং প্রকৃত আসামীদের দোষীদের শাস্তি হয়।

তিনি বলেন পার্বত্যবাসী সবাই আশা করছে আর্ন্তজাতিকভাবে আলেচিত এই অপহরণ ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে প্রকৃত রহস্য উদযাটন করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতের কাছে দাখিল করবেন।

####

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন