খাগড়াছড়িতে খাবার পানির তীব্র সংকট; পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব

fec-image

বন্যায় খাগড়াছড়িতে ৩ শতাধিক নলকূপ ও রিংওয়েল টানা এক সপ্তাহের অধিক সময় পানির নিচে ডুবে থাকায় দুর্গত এলাকায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি নামার সাথে সাথে দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, আমাশা ও পেট ব্যাথাসহ পানি বাহিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। দুর্গত এলাকায় নষ্ট হয়ে গেছে সহস্রাধিক ল্যাটরিন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যস্ত সময় পার করছে নষ্ট হয়ে যাওয়া পানির উৎস মেরামতে।

টানা এক সপ্তাহের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় খাগড়াছড়ি সদর ও দীঘিনালা উপজেলা। এ দুই উপজেলায় অন্তত ২০ হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে কয়েকশত পুকুরের মাছ, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত একর জমির ফসল। পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বসতবাড়ী ও সড়ক।

এদিকে বন্যার পানি নামার সাথে এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া ও আমাশাসহ পানি বাহিক নানা রোগের প্রাদুর্ভাব।

খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, বন্যায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় ১৩৪টি নলকূপ, ৭৩ টি রিংওয়েল ও ৬৫০টি ল্যাট্রিন, দীঘিনালায় ৭৩টি নলকূপ, ৩২টি রিংয়েল ও ৪২০টি ল্যাট্রিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে অচল নলকূপ ও রিংয়েলগুলো সচল করতে কাজ করছে।

এছাড়াও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় ৪ হাজার ১শ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবেলেট ৩০টি পানি জার, দীঘিনালায় উপজেলায় ৩ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। নির্মান করে দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী ল্যাট্রিন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা, বন্যা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন