খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল হত্যাকাণ্ড প্রতিশোধ প্রবণতা থেকে, আটক মোমিনের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগ কর্মী মো. রাসেল হত্যাকাণ্ড মামলার আরেক আসামিকে খাগড়াছড়ি পৌরসভা ভবন থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমের হস্তক্ষেপে তার রুম থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. রমজান হোসেন মোমিনকে খাগড়াছড়ি সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল হত্যাকাণ্ডে পাঁচজন আটক হলো।

থানায় হস্তান্তরের আগে পৌরসভা মেয়র রফিকুল আলমের কক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি করা হয় আসামি মোমিনকে। পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিশোধ নিতে ছাত্রলীগ কর্মী রাসেলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে মোমিন।

মো. রমজান হোসেন মোমিন জানান, কয়েক মাস আগে মোমিনের বন্ধু অটোরিক্সা চালক সুমনকে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয় রাসেল ও তার বন্ধুরা। ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় রাসেলসহ কয়েকজনকে মিলনপুর ব্রিজে বসে থাকতে দেখে সুমন ৭-৮জন বন্ধুকে সাথে নিয়ে রাসেলকে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে সুমনই রাসেলকে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতের পর রাসেল ঢোলে পড়লে সবাই চলে যায়। পরবর্তীতে রাসেলের মৃত্যুর খবরের পর সবাই পালিয়ে যায় বলে জানায় মোমিন।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম বলেন, সংসদ সদস্য সমর্থকদের সাথে আমাদের রাজনৈতিক বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নয়। মামলায় আমাদের হয়রানি করতে আসামি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে মোমিন বিভিন্ন নেতার কাছে আশ্রয় চেয়েছে। কিন্তু কেউ তাকে আশ্রয় দেয়নি। পরে আমাদের কাছে আশ্রয় চাইলে আমরা তাকে আশ্রয়ের আশ্বাসে খাগড়াছড়ি আসতে বলি। এখন পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি পুলিশ গভীরভাবে দেখছে। মো. রমজান হোসেন মোমিনকে আটকের ঘটনা যাতে জজ মিয়ার নাটকের মতো না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।

এর আগে, গত ২৪ মার্চ রাতে খাগড়াছড়ি শহরের মিলনপুর এলাকায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সমর্থিত ছাত্রলীগ কর্মী মো. রাসেলকে। ঘটনার পরের দিন রাসেলের মা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন