খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বন্যা অবনতি হওয়ায় ২৫ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ তিন দিন ধরে পানিবন্দি
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে মাইনী নদীতে আবার পানি বাড়তে শুরু করেছে। উপজেলার ২৫টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবার তিন দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন পার করছে।
১২ টি আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছে তিন শতাধিক পরিবার। দীঘিনালার সাথে রাঙামাটির লংগদুন সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দুর্গত এলাকায় তীব্র বিশুদ্ধ পানির সংকট চলছে। পানিবন্দি এলাকার লোকজনদের নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলায় ৪৫ হাজার ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ট্যাবলেট ও পানির জার বিতরণ করছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও সেনাবাহিনীর উদ্যোগে দুর্গত এলাকায় রান্না করা খাবারসহ ত্রাণ বিতরণ চলছে।
এদিকে টানা ৬ দিনে বর্ষনে পাহাড় ধস ও বন্যায় পুরো খাগড়াছড়ি জেলা ক্ষত-বিক্ষত করে গেছে। ক্ষতের চিহৃ শত শত পুকুরের মাছ ও জমির ফসলের পাশাপাশি বসতবাড়ী ও আভ্যন্তরীন সড়ক-ব্রিজ-কালভার্টের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।খাগড়াছড়ি শহরের মধুপুরে দোকানপাটসহ সড়কের একটি আংশ ধেবে গেছে। পানছড়িরর দুদুকছড়া ব্রীজের একাংশ ধসে পড়ায় ২০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, যে কোন ধরণের দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসন। পানিবন্দি মানুষদের সাহায্যর্থে রান্না করা খাবারের পাশাপাশি ৫০ মেট্রিক টন চাউল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া দীঘিনালার বাবুছড়ায় পাহাড় ধসে নিহতের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।