গর্জনীয়ায় ডাকাতি ও দুই সহোদর অপহরণ, ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

fec-image

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

রামু উপজেলার গর্জনীয়ায় একদিনের ব্যবধানে বসতবাড়ীতে ডাকাতিসহ দুই সহোদর অপহরণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৩০ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গর্জনীয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড দক্ষিণ নজুমাতবর পাড়া গ্রামে।

অপহরণের শিকার হওয়া দুই সহোদর হলেন- আমির হোসেনের পুত্র শহিদুল্লাহ (১৩) ও রিদুয়ান (১৬)।

প্রত্যক্ষদর্শী গৃহকর্তা আমির হোসেন জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ১০/১২ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙ্গে বাড়ীর লোকজনদের জিম্মি করে ৮টি মোবাইল সেট ও নগদ দেড় লাখ টাকাসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে চলে যাওয়ার সময় তার দুই ছেলেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দিকে নিয়ে যায়।

গৃহকর্তার স্ত্রী খাদিজা বেগম জানান, সশস্ত্র ডাকাতদলের সদস্যদের মধ্যে দুই জন মুখোশ পরিহীত, বাকিরা মুখ খোলা অবস্থায় ছিল। তারা রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বাড়ীঘরের বিভিন্ন জায়গায় লুটপাটসহ তান্ডব চালায়। এসময় তার কান ও গলার স্বর্ণসহ বাড়ীঘরের মালামাল ছাড়াও চাউল, সবজি, সেমাই, চিনিসহ শুটকি মাছ পর্যন্ত নিয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, অপহরণের শিকার দুই সহোদরকে ফেরত পেতে রোববার ভোররাত ৫টা থেকে ৫টা ৪০ মিনিটের ভিতরে ৩ দফা মোবাইল ফোনে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা অপহৃতদের বড় ভাই মিজানুর রহমানের নিকট ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দাবিকৃত মুক্তিপণ আদায় না করলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গর্জনীয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. আলমগীর সহ সঙ্গীয় ফোর্স। তিনি এই প্রতিবেদকের নিকট মোবাইল ফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং তাদেরকে ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ করার জন্য বলেছি। এছাড়া অপহৃতদের ব্যাপারে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৯ জুন) রাতে একই এলাকা থেকে তিন ব্যক্তিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণকারী চক্রের হাত থেকে কৌশলে দুই ব্যক্তি পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও একই এলাকার আব্দুস সালামের পুত্র তাজর মুল্লুক (৩০) পালিয়ে আসতে না পারায় ৩০ জুন শনিবার রাতে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপনের বিনিময়ে উদ্ধার হয় বলে তার পরবিারের সদস্যরা জানান।

এদিকে পরপর ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করেছে।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপহৃতরা উদ্ধার হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন