টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী নিহত

fec-image

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মুফিদ আলম (৩৯) নামে একজন মাদক ব্যবসায়ী ও ওয়ার্ড আওয়মী লীগের সহ সভাপতি নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১ টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়া বালিকা মাদ্রাসার পেছনে নাফ নদীর পাশে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। নিহত মুফিদ নয়াপাড়া গ্রামের মৃত নজির আহমদের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও ৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। সেই সাথে নিহত মুফিদ আলম দীর্ঘ দিন ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘নিহত মুফিদ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে অন্তত ৬টি মামলা রয়েছে। মাদক উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নয়াপাড়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদে মুফিদ জানায়, ইয়াবার একটি বড় চালান নয়াপাড়া বালিকা মাদ্রাসার পিছনে নাফ নদীর পাশে মজুদ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সহযোগী অস্ত্রধারী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে এএসআই অহিদ উল্লাহ, কনস্টেবল রুবেল মিয়া ও মনির হোসেন আহত হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পুলিশও পাল্টা ৩৮ রাউন্ট গুলি চালায়। এক পর্যায়ে আটক মুফিদ আলম গুলিবিদ্ধ হয়। অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি করতে করতে দ্রুত পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি করে বিক্ষিপ্ত ভাবে ফেলে যাওয়া দুইটি এলজি, ১০ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, এবং ৫ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ মুফিদ আলম টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। পরবর্তীতে তাকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়া গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।’ বর্তমানে মৃতদেহ মর্গে রয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা জানান, তিনি একজন আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা। বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতির পদে রয়েছেন। সাবেক হোয়াইক্যং ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক ছিলেন। তার ৩ স্ত্রী ও ৫ ছেলে মেয়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী পদ পদবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইয়াবা ব্যাপারি বিএনপি জাামায়াত সব দলের মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তার দায়ভার দল নেবেনা বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, টেকনাফ, বন্দুকযুদ্ধ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন