তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় দুই মেম্বারের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন

fec-image

কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলার চালিয়াতলিতে চাঞ্চল্যকর তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় কালারমারছড়া ইউনিয়নের গ্রেপ্তার দুই মেম্বারসহ তিনজনের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে মহেশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আবেদন করা হয়। এর আগে তিনজনকে আদালত হাজতে পাঠানো হয়। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, চাঞ্চল্যকর তরুণী ধর্ষণের ঘটনার মামলায় ধামাচাপা চেষ্টার অভিযোগে কালারমারছড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার লিয়াকত আলী এবং একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার খতিজা বেগম আসামী হয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ায় মামলার রুজুর আগেই শুক্রবার তাদের দুজনকে আটক করা হয়েছিল। বাদির অভিযোগের ভিত্তিতে তারা এজাহার নামীয় আসামী হয়েছেন।

একই সাথে মনু মিয়া নামে এক ধর্ষককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনজনকে শনিবার সকাল ১১টায় মহেশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা এবং তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। সাড়ে ১২ পর্যন্ত শুনানী হয়নি।

মেম্বার লিয়াকত আলী ও মনু মিয়া

পুলিশ জানায়, চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় মামলটি দায়ের করেন। ওসি জানান, ধর্ষিতা নিজে বাদি হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭/৭ জনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহারটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। মামলায় স্থানীয় মেম্বার লিয়াকত আলী ও খতিজা বেগমকে আসামী করা হয়েছে। মামলা রুজুর আগেই তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

অন্যদিকে এই ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে নলবিলা মাঝের পাড়ার আবদুর রশিদের পুত্র ধর্ষক মনু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ওই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

বাদি অভিযোগ, গত ৭ জুলাই রাতে ওই তরুণী চট্টগ্রামের কর্মস্থল থেকে নানার বাড়ি মাতারবাড়ি আসার পথে তাকে পাহাড়ে তুলে ধর্ষণ করে নলবিলার আমির সালাম, এনিয়া, সিএনজি চালক আদালত খাঁ ও ওসমান গণিসহ ১৪ জন। কিন্তু এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে মিশন নিয়ে নামে মাতারবাড়ির সড়কের সিএনজি লাইনম্যান রশিদ ও স্থানীয় মেম্বার লিয়াকত আলীসহ একটি চক্র।

তবে শুক্রবার ঘটনাটির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিকালে মাতারবাড়ি থেকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, ধর্ষণ, মহেশখালী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন