ত্রিপুরা কিশোরী হত্যায় অভিযুক্ত ১ জন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
পার্বত্যনিউজ ডেস্ক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ত্রিপুরা পাড়ায় দুই কিশোরী খুনে অভিযুক্ত যুবক জয়নাল আবেদিনের (৩২) গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩০ মে) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সীতাকুণ্ড পৌরসভার দেবেরপাহাড় এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জয়নাল আবেদিন মাদক বিক্রেতাদের দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মাদক কেনাবেচার সময় বিক্রেতাদের দু’পক্ষে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এরপর সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে একজনের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা এই যুবককে জয়নাল আবেদিন বলে শনাক্ত করেছে। ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
দুই ত্রিপুরা কিশোরী হত্যাকাণ্ডে জয়নালের সম্পৃক্ততার বিষয়ে এসপি বলেন, আমরা এর আগে দুই ত্রিপুরা কিশোরী হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছিলাম। আবুল হোসেন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে ও তার বন্ধু জয়নাল আবেদিন ত্রিপুরা পাড়ায় গিয়ে দুই কিশোরীকে হত্যা করে। জয়রনালের লাশ উদ্ধারের পর সে আবুল হোসেনের বন্ধু বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।
গত ১২ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সীতাকুণ্ড পৌরসভার জঙ্গল মহাদেবপুর পাহাড়ে ত্রিপুরা পাড়ায় গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। দুই কিশোরী হলেন, ত্রিপুরাপাড়ার ফলিন ত্রিপুরার মেয়ে সুখলতি ত্রিপুরা (১৫) এবং প্রতিবেশী সুমন ত্রিপুরার মেয়ে ছবি রাণী ত্রিপুরা (১১)। ফলিন ত্রিপুরা বাদী হয়ে ওই দিন রাতে সীতাকুণ্ড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ১৯ মে সকালে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে। এরপর দুই কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে জবানবন্দিতে জানান আবুল হোসেন।
সূত্র- সারাবাংলা।