দখলের কারণে ভোগান্তিতে নাইক্ষ্যংছড়ির স্কুলপাড়া গ্রামবাসী

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের ১নং ওয়ার্ডে শতাধিক বসতি নিয়ে স্কুলপাড়া গ্রামের অবস্থান। রেস্ট হাউস সড়কে যাওয়ার পথে ইউনুছ মাষ্টারের বাড়ির সামনে দিয়ে ও ছালেহ আহমদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছন হয়ে স্কুলপাড়ার মূল প্রবেশ পথ। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই দুটি সড়ক দিন দিন দখল হয়ে যাওয়ার কারণে শতাধিক পরিবার দূর্ভোগে পড়েছে।

স্কুলপাড়ার বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরীজীবি মোক্তার আহমদ, আবু তাহের কোম্পানী, স্কুল শিক্ষক মোক্তার, আব্দুল গাফ্ফার, ছাত্রনেতা ইফতেখারুল আবরারসহ একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, যুগ যুগ ধরে এই সড়ক হয়ে এলাকার মানুষ ব্যবসা-বানিজ্য, স্কুল-কলেজসহ সরকারী চাকুরীতে যাতায়াত করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে এই দুটি সড়ক মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। লাশ বোঝাই এম্বুলেন্স কিংবা একটি রিক্সা প্রবেশের পথও রাখেনি প্রভাবশালীরা।

দুই পাশের জমির মালিক রাস্তার মাটি কেটে নেওয়ার কারনে এক সময়কার বৃহৎ সড়ক দুটি বর্তমানে সরু আলে পরিণত হয়েছে। ফলে এলাকার মানুষের ধান, চাল, মালামাল পরিবহন ও চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে মাটি কেটে সড়ক দখলের কারণে রবিবার (২২জুন) উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছেন গ্রামবাসীরা।

এলাকার বাসিন্দারা আরো জানান, সড়কটি বর্তমানে গাড়ি চলাচল উপযোগী নয়। রিক্সা, ভ্যান কিছুই যাচ্ছেনা গ্রামের ভিতর। দু ধারে জমির মাটি কেটে দখল করে নিয়েছে জনৈক কলিম উল্লাহ ওরফে কালু। অথচ ইতোপূর্বে একাধিকবার সরকারী অর্থায়নে স্কুলপাড়ার এই দুটি রাস্তা সংষ্কার, কালভার্ট নির্মাণ ও গাইড ওয়ার্ড নির্মাণ কাজ হয়েছে। তবে সড়কটি নিজ নামীয় জমির উপর পড়েছে বলে দাবী করেছেন অভিযুক্ত কলিম উল্লাহ কালু।

এদিকে ছালেহ আহমদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছন থেকে স্কুলপাড়ার সড়কটিও স্থাপনা তৈরী, ভাঙ্গন ও জবর দখলের কারণে দিন দিন সরু হয়ে যাচ্ছে।

স্কুলপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ জানান, সাধারণ কোন যানবাহনতো দূরের কথা ইমার্জেন্সী কোন এ্যাম্বুলেন্স কিংবা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশের জন্য পথ রাখেনি ভূমিদস্যুরা।

সরকারী রাস্তার উপর বসতঘরের দেওয়াল ও গাছ রোপন করার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চিহ্নিত ভূমিদস্যুর দল সরকারী বরাদ্দের কালভার্ট পর্যন্ত নিজ বসতঘরের ভিতরে দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন একাধিক বাসিন্দা।

সড়ক দুটি রক্ষা ও শান্তি শৃংখলা রক্ষায় উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যথায় বৃহৎ স্বার্থে উভয়  গ্রুপের মধ্যে যে কোন সময় দাঙ্গা হাঙ্গামার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

এই প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, স্কুলপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা ঘটনার বিষয়ে অবহিত করেছেন। অভিযোগের বিষয় সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন