দিঘীনালায় প্রতিপক্ষের লোকজনকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে দোকানপাট লুট ও বাড়িঘরে হামলা

দিঘীনালা প্রতিনিধি:

দিঘীনালায় প্রতিপক্ষ সংগঠনের লোকজনকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে দোকানপাট লুট ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার(২৫ নভেম্বর)সকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি জনপদ ক্ষেত্রপুর ও নোয়াপাড়া, বাজেপাতাছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় সন্ত্রাসীরা ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে পুরো এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। ঘটনার পর থেকে এলাকাটি পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে।এলাবাসী এ ঘটনার জন্য এমএন লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিজেএসএস) কে দায়ী করেছে। পিজেএসএস অভিযোগ অস্বীকার করে এই ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে।

রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দিঘীনালা উপজেলা এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার ক্ষেত্রপুর ও নোয়াপাড়া, বাজেপাতাছড়া নামক এলাকার দোকান বন্ধ। দোকানের সামনে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এ সময় তারা চারটি দোকান ভাংচুরসহ লুট করে পাশাপাশি দুটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।

পরে দোকানের ভেতর লুকিয়ে থাকা দোকান-মালিকের স্ত্রী জানান, সন্ত্রাসীরা প্রথমে গুলি বর্ষণ করে। পরে দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা চালায়। আমার বাড়িতেও হামলা চালিয়ে বাড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল ভাংচুর করেছে।

পার্শবর্তী ক্ষেত্রপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানান, আজ সকালে বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছিলো। হঠাৎ করে ৪০/৫০ জনের সেনাবাহিনীর পোষাকের মতো অস্রধারী লোকজন এসে প্রথমে ফাকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। পরে তারা দোকান ভাংচুর শুরু করে। আমরা পরে পরীক্ষা না দিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাই।

ক্ষেত্রপুর এলাকার অন্য আরেকজন জানান, আমার দোকানে ভাঙচুর করার পর সন্ত্রাসীরা অগ্নিসংযোগ করেছে। এসময় তারা আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে এলাকার মহিলাদের সহযোগিতায় আগুন নিভানো হয়। এ সময় তারা ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) কে আশ্রয়

দেয়ার মিথ্যা অভিযোগে এমএন লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করে এমএন লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী তথ্য ও প্রচার সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা এই ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেন।

এ বিষয়ে দীঘিনালা থানার এস আই ফারুক হোসাইন জানান, ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাস্থলের কিছু অংশ বাঘাইছড়ি থানার আওতাধীন। তবে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। তারপরও এ বিষয়ে পুলিশ তৎপর বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন