দীঘিনালায় কলেজ ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমবেশ
দীঘিনালায় কলেজ ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমবেশ প্রতিবাদে আগামী রবিবার সড়ক অবরোধ এবং বাজার বয়কটের ঘোষণা। অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, আয়না চাকমা।
দীঘিনালা প্রতিনিধি:
দীঘিনালায় এক কলেজ ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ-দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজ শাখা।
বুধবার (১৮ অক্টোবার) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে উপজেলা কমপ্লেক্স প্রদক্ষিণ করে। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলার লারমা স্কোয়ারে সমাবেশে মিলিত হয়। ওই কলেজ ছাত্রীর নাম আয়না চাকমা(১৯)। সে মহালছড়ি উপজেলার উল্টাছড়ি গ্রামের সুখময় চাকমার মেয়ে।
সে গত ৭ (সাত) বছর যাবৎ পশ্চিম থানাপাড়া এলাকার যুগস্মৃতি চাকমার বাড়িতে থেকে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজে পড়াশুনা করে আসছেন। সমাবেশে অপহরণের অভিযোগ এনে, উপজেলার কুমিল্লা টিলা এলাকার ফরিদ মিঞার ছেলে আবু বক্করকে দায়ী করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি জেনিথ চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুব পরিষদের সভাপতি সমির চাকমা, উপজেলা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি রাজ্যময় চাকমা, সাধারণ সম্পাদক সুনেন্দু চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক অমর বিকাশ চাকমা এবং কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পিন্টু চাকমা প্রমুখ।
সমাবেশে আয়না চাকমা উদ্ধারে প্রশাসনকে তিন দিনের সময় বেধে দিয়েছে বক্তারা। আগামী তিন দিনের মধ্যে উ্দ্ধারে ব্যর্থ হলে আগামী রবিবার থেকে সড়ক অবরোধসহ দীঘিনালা থানা বাজার বয়কট কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এব্যাপারে আবু বকর অপহরণের অভিযোগ মুঠোফোনে অস্বীকার করে জানান, আয়না চাকমার সাথে আমার প্রায় ৫ বছর যাবৎ প্রেম সর্ম্পক ছিল। আমরা সেচ্ছায় দুজন বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি।
অন্যদিকে আয়না চাকমা মুঠোফোনে জানান, আমি গত ১৫ অক্টোবর কোর্ট এফিডেবিট মূলে বৌদ্ধ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। আমি আর আয়না চাকমা নই। আমি এখন রিমা আক্তার। আমার সাথে থাকা আবু বক্করকে আমি বিবাহ করেছি। আমাকে সে অপহরণ করেনি।
এব্যাপারে দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সামসুদ্দিন ভুইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।