দীঘিনালায় লোগো পদ্ধতিতে ধান চাষে অাগ্রহ বেড়েছে কৃষকের
দীঘিনালা প্রতিনিধি:
দীঘিনালায় লোগো পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপনে কৃষকের মাঝে অাগ্রহ বেড়েছে। নতুন এ পদ্ধতিতে অধিক ধান উৎপাদনসহ রোগবালাই কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কম খরচে বাড়তি উৎপাদন হওয়ায় সহজেই এ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে কৃষাণ-কৃষাণীরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লোগো পদ্ধতি ধান চাষের একটি আধুনিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রতি ১০ সারির মাঝে ১২ থেকে ১৬ ইঞ্চি ফাঁকা দিতে হবে অর্থাৎ একটি লাইনে ধানের চারা লাগানো বাদ রেখে অন্য লাইনে চারা লাগাতে হবে। এভাবে পুরো জমিতে ধানের চারা রোপণ শেষ করতে হবে।
ধান গাছ বেড়ে ওঠার পর ঘাসফড়িং ও মাজরা পোকা ধানের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। সাধারণত ছায়াযুক্ত স্থানে এ ধরনের পোকা বেশি হয়। লোগো পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হলে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস নিশ্চিত হলে পোকার আক্রমণ কমে। এ পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ ইত্যাদি পরিচর্যা করতে সুবিধা হয়, আগাছা পরিষ্কার করে লোগোর লাইনে পুতেঁ রাখলে জৈব সার হয়।
সর্বোপরি লোগো পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে ধানের ফলন বাড়ে। সঠিকভাবে চাষ করলে ধানের ফলন বিঘা প্রতি ৫ মণ বাড়তে পারে। তাছাড়া পোকামাকড় কম হওয়ায় কীটনাশক ব্যবহার কম করতে হয়। এতে লাভবান হওয়া যায়।
এ ব্যাপারে কৃষাণী রুপসী চাকমা জানান, অামি এ প্রথম লোগো পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ করছি। লোগো পদ্ধতিতে রোপণ করার কারণে জমিগুলো খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। অাশা করছি ভালো ফলন অাসবে।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্বপ্না রানী ভট্টাচার্য জানান, প্রতি দশ সারি চারা রোপণের পর একফুট ফাঁকা রাখায় চলাচল সুবিধার কারণে যথাযথভাবে বিভিন্ন সার কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত অালো বাতাস চলাচলের কারণে ধানের রোগবালাই কম হবে। পর্যাপ্ত অালো বাতাস পাওয়ার কারণে অবশ্যই ফলনও ভালো অাসবে।