parbattanews

দেশে কোন মধ্যবর্তী নির্বাচন হবেনা: সেতুমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

দেশে কোন মধ্যবর্তী নির্বাচন হবেনা। মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি করে বিএনপি মধ্যবর্তী তামাশা শুরু করেছে। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উকিল নোটিশ দিয়েছে, এটি একটি আইনী বিষয়, আইনীভাবে মোকাবেলা করা হবে। বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যাচারের জন্য শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নয় দেশবাসীর কাছেও ক্ষমা চাইতে হবে।

বান্দরবানে ঐতির্য্যবাহী রাজ মেলায় (রাজ পূর্ণাহ) বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) প্রধান অতিথির বক্ত্যবে সেতুমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদের এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এই সরকারের মেয়াদেই পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে। পাহাড়ের উন্নয়নসহ মানুষের প্রতি শেখ হাসিনা খুবই আন্তরিক, তাই শেখ হাসিনা শান্তি চুক্তি করে দীর্ঘদিনের রক্তক্ষয় সংঘাত বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন।

এসময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, চট্টগ্রাম ২৪পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ লা মং, ৬৯পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার জোবায়ের ছালেহীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বক্তব্য রাখেন।

ঐতিহ্যের ধারাবাহিক নিয়ম অনুযায়ী বোমাং রাজা প্রকৌশলী উ চ প্রু রাজ পোশাকে সজ্জিত হয়ে হাতে তরবারী নিয়ে মাথায় পাগড়ি বেধে উজির নাজীর ও সৈন্য সামন্তের কড়া পাহারায় পুরাতন রাজার মাঠে অস্থায়ী নির্মিত রাজ সিংহাসনে আরোহণ করেন। রাজকীয় পোশাকে রাজাকে একনজর দেখার জন্য রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকে উৎসক জনতা। তারা এসময় রাজাকে ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানান পর্যটক ও প্রজারা।

বংশ পরাম্পরায় ১৪০তম রাজপূণ্যাহ মেলার এটি হবে উ চ প্রু চৌধুরীর চতুর্থ রাজপূণ্যাহ উৎসব। এ মেলা তিন দিনব্যাপী চলবে। ১৮৭৫ সালে ৫তম বোমাং রাজা সাক হ্ন ঞো’র আমল থেকে বংশ পরম্পরায় ধারাবাহিক ভাবে প্রতিবছর ঐতিহ্যবাহী রাজপূণ্যাহ উৎসব হয়ে আসছে। রাজপূণ্যাহ পাহাড়ি-বাঙ্গালীর মিলন মেলায় পরিনত হয়।

বোমাং সার্কেলের অন্তর্গত ৭টি উপজেলার ৯৫টি মৌজা এবং রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই ও রাজস্থলী দুটি উপজেলার ১৪টি মৌজাসহ মোট ১০৯টি মৌজার হেডম্যান প্রতি বছর এ মেলায় জেলার হেডম্যান এবং কারবারীরা আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজকর প্রদান করে থাকেন।

পুলিশ সুপার জানান, রাজ পূণ্যাহ মেলায় নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে।

রাজপূণ্যায় বিভিন্ন পণ্যের স্টল, হাউজি, পুতুল নাচ, বিচিত্রানুষ্ঠান, মৃত্যুকুপ, নাগরদোলা, যাত্রাপালাসহ বিনোদন মুলক নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী উৎসব দেখতে হাজারো পর্যটকের ভীড় এখন বান্দরবানে।

 

Exit mobile version