Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

নির্বাচনী ঝড়ে টালমাটাল কক্সবাজার, সহিংসতার আতঙ্কে ভোটাররা

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

আগামী ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন। তাই চোখে ঘুম নেই এ পৌর এলাকার প্রার্থীদের। কর্মীরাও ছুটে চলেছেন বিভিন্ন ওয়ার্ড, গ্রাম, পাড়া, মহল্লায় ভোটারদের কাছে।

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। পোষ্টারে পোষ্টারে ছেঁয়ে গেছে পৌর এলাকার সকল প্রধান প্রধান পয়েন্ট ও অলিগলি। মূলত: এ পৌরসভায় জোরে-শোরেই বইছে নির্বাচনী ঝড়ো হাওয়া। নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে রয়েছে যেমন চাওয়া-পাওয়ার হিসাব, তেমনি প্রার্থীরাও দিচ্ছেন মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়াসহ সার্বিক উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি।

বিগত নির্বাচন দলীয়ভাবে না হলেও এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা, উচ্ছ্বাস ও আমেজ কাজ করছে ভোটারদের মনে। কিন্তু নির্বাচনপূর্ব নাশকতামূলক মামলা, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও বিভিন্ন ভয়ভীতিতে সাধারণ ভোটাররা রয়েছে চরম আতঙ্কের মধ্যে।

অনেকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে তাদের মনে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ। অনেকে আবার ক্ষমতাসীনদের ভোটকেন্দ্র দখলসহ কারচুপির আশঙ্কা করছেন। তবে তাদের শেষ ভরসা সেনাবাহিনী।

ইতোমধ্যে বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও নাগরিক কমিটির সরওয়ার কামাল পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান। তাদের দাবি, তফসীল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সুন্দর ও নির্ভয়ে চালিয়ে আসছে। কিন্তু ভোটের মাত্র ৫/৬ দিন আগে অহেতুক মামলা দেয়ায় চাপা-আতংক বিরাজ করছে প্রার্থী ও সমর্থক এবং ভোটারদের মাঝে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার পৌরসভার সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ৮৩ হাজার ৭২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৪ হাজার ৩৭৩ জন ও মহিলা ভোটার ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন। নারীদের চেয়ে এ পৌরসভায় পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৫ হাজার ১৮ জন বেশি। এসব ভোটারের জন্য মোট ৩৯টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হবে।

এবারের নির্বাচনে তিনটি পদে সর্বমোট ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ১৬ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদপ্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত মুজিবুর রহমান (নৌকা), নাগরিক কমিটির বর্তমান মেয়র সরওয়ার কামাল (নারিকেল গাছ), বিএনপির রফিকুল ইসলাম (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন সিকদার (লাঙ্গল) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জাহেদুর রহমান (হাতপাখা) প্রতীক। নির্বাচনী মাঠে প্রচন্ড উত্তাপ ছড়িয়ে চলেছেন এসব নেতা। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসায় বিরামহীন প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই।

সরেজমিনে কক্সবাজার পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে ও ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিগত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরওয়ার কামাল প্রায় আড়াই বছর শপথ নিয়ে চেয়ারে বসলেও ক্ষমতা হারান কথিত নাশকতা মামলার ভারে। পরে আদালতের বারান্দায় দৌঁড়তে দৌঁড়তে সময় গড়ায় নির্বাচনের। যার ফলে ভারপ্রাপ্তের ভারে নুয়ে পড়ে সর্বশেষ চেয়ারবিহীন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। একারণে জনগণের মৃদু ভালোবাসা ও নির্যাতনের ফল আবার কাঁধে তুলে দিতে সরওয়ার কামালের জয় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

তবে গেলবারের জোটপ্রার্থী সরওয়ার কামাল এবার নির্বাচনে জোটের সমর্থন না পাওয়ায় দলীয় নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় ভোট নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে পড়েছেন ভোটাররা।

অপরদিকে জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান সন্ত্রাস দমনে চরম সাহসিকতা, বর্তমান ক্ষমতাসীনদল ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে তার উপর সাধারণ ভোটারদের আস্থা দিনদিন বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে তরুণ ও নতুন ভোটারদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বেশি। যে কারণে ভোটারদের অনেকে বেঁকে গিয়ে মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিবেন বলে জানিয়েছেন সাধারণ সমর্থকরা।

অপরপক্ষে, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম ২৭ বছরের পুরনো বুদ্ধি সম্পন্ন। দলটির নেতা-কর্মীদের ধারণা, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারলে এ পৌরসভায় বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে তার নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ কক্সবাজার পৌর এলাকা বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে একটি রসম রয়েছে বলে তারা ভরসা রাখছেন। দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় বাহারছড়াবাসী যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তাহলে তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।

শতভাগ নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত ভোট উপহার দিতে সরকারের প্রতি জোরালো আবেদন ভোটারদের। না হলে রক্তের বন্যায় পর্যটন শহরে বিশৃংখলা ও বিশ্বে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশংকা রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন