পাকুয়াখালী গণহত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী

স্টাফ রিপোর্টার:

পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড পাকুয়াখালী গণহত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করেছে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদ। ১৯৯৬সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটি জেলার পাকুয়াখালীতে সন্তুলারমার নেতৃত্বে উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক ৩৫ জন বাঙালি কাঠুরিয়াকে নির্মমভাবে হত্যার বিচারের দাবীতে রবিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও শোকসভায় এ দাবী করা হয়।

পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ ফরাজি সাকিবের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান বক্তা সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহীম মুনির বলেন, ১৯৯৬ সালের এই দিনে রাঙামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাকুয়াখালী নামক গহীন অরণ্যে তৎকালীন শান্তি বাহিনীর হাতে প্রাণ হারায় ৩৫ নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়া। সেই থেকে পার্বত্য এলাকায় বাঙালিরা এ দিনটিকে পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

প্রায় দুইযুগ হয়ে গেলেও এখনও এই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। ২১ বছর পরেও বিচার না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত নিহতদের পরিবার। ১৯৯৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর শান্তিবাহিনী লংগদুর ৩৬ জন কাঠুরিয়াকে ব্যবসায়িক লেনদেনের কথা বলে পাকুয়াখালী নামক গহীন অরণ্যে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে কাঠুরিয়াদের তিনদিন আটকে রেখে হাত-পা ও চোখ বেঁধে নির্যাতন চালিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর হত্যা করা হয়। আটক ৩৬ জন কাঠুরিয়ার মধ্যে ইউনুস নামের একজন কাঠুরিয়া পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। সে খবর দিলে ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ ও সেনাবাহিনী লাশ উদ্ধার করে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।

পার্বত্যবাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা এবং পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জি. মোঃ আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি মোস্তাক আহমেদ , ঢাকা উন্নয়ন সংসদের সভাপতি মাহবুব খোকন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক শেখ আহাম্মদ রাজু, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হামিদ রানা প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন