Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

পানছড়িতে টর্চের আলোয় কোটি টাকার কাজের ঢালাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, পানছড়ি:

পানছড়ি-দুদুকছড়া সড়কে ব্রীজ নির্মানের কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জাকির এন্টারপ্রাইজ। পানছড়ি উপজেলার ৮টি ব্রীজসহ জেলায় তারা নির্মান করছে ১৩টি ব্রীজ। যার সর্বমোট ব্যয় আনুমানিক ৬২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার মতো। কিন্তু কাজের গুনগত মান এতই খারাপ যে নির্মানের কিছুদিনের মধ্যেই এগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

বিশ্বস্থ সূত্রে খবর পেয়ে, ১৭ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার কানুনগোপাড়া পার হয়ে পূজগাং এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, টর্চ মেরে ঢালাই করার চিত্র। ওয়ার্ক এসিসটেন্ট থেকে শুরু করে এস.ও কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি।

শ্রমিকদের সর্দার মাহাবুব খুবই আন্তরিকতার সাথে এই প্রতিবেদকে জানায়, এস.ও আলমগীর স্যার তো সকাল সাড়ে দশটায় চলে গেছে। তাছাড়া ওয়ার্ক এসিসটেন্ট মোহন আর শান্তি বিকেলের আগেই চলে যায়। রাতের অন্ধকারে টর্চের আলোতে ঢালাইয়ের মান কেমন হয় তা জানতে চাইলে তিনি নিরবতা পালন করে বলেন, আসলে মেশিনটা ডিস্টার্ভ করছিল তাই লেট হয়েছে। প্রায়ইতো টর্চের আলোতে ঢালাই চলে তখনও কি মেশিন খারাপ থাকে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।

জানা যায়, জাকির এন্টারপ্রাইজের বড়পাড়া (বড় কলক) বাবড়ু পাড়া ও কানুনগো পাড়া ব্রীজগুলোতে করেছে বিশাল দুর্নীতি। সবগুলো ব্রীজের কাজেই ব্যবহৃত হচ্ছে মরিচা পড়া লোহার রড। তাছাড়া বাবুড়া এলাকায় ব্রীজের ফাইলিং সিডিউল মতো না করায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ নিয়ে এগিয়ে এলে তাদের আর্থিকভাবে মুখ বন্ধ করা হয়।

তাছাড়া লোগাং বাজার থেকে দুদুকছড়া যেতে প্রথম ব্রীজটির পাশে বিশালাকার পাহাড় কেটেছে সরকারী অনুমতি ছাড়া। রাতের আধারে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চেংগী নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে অহরহ। পানছড়িবাসীর আকুল আবেদন জাকির এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে যে ব্রীজগুলো নির্মান করা হচ্ছে সেগুলোকে বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলে জালিয়াতির সম্পুর্ন তথ্য বেরিয়ে আসবে।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য কর্মস্থলে ঠিকাদারের কোন লোক পাওয়া যায়নি। ১৭ আগস্ট টর্চের আলোতে ঢালাইয়ের ব্যাপারে এস.ও আলমগীরকে জানালে তিনি বলেন, আমি কর্মস্থলে ছিলাম এবং ওয়ার্ক এসিসটেস্টও রয়েছে তাছাড়া দেরী হতেই পারে। কিন্তু সর্দার মাহাবুব বলেছে স্যার সকালেই চলে গেছে।

এ ব্যাপারে কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সাথে আলাপকালে তারা জানায়, এটা সম্পুর্ন রোডসের ব্যাপার। তবে অফিসিয়াল কোন কর্মকর্তা ছাড়া দিনের বেলায় ঢালাই করাও সম্পুর্ন অনিয়ম এটা তো রাতের বেলা। পানছড়িবাসীর প্রাণের দাবি এই ব্রীজগুলোকে কারিগরি নিরপেক্ষ অফিসার দ্বারা পরীক্ষা করে অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন