পাহাড়ে আরেকটি কল্পনা ড্রামার অবতারণা: পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত একযুক্ত বিবৃতিতে পাহাড়ি নারীদেরকে দিয়ে ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে কল্পনা ড্রামার মাধ্যমে দেশপ্রেমিক নিরাপত্তা বাহিনীকে হেয় করার অপকৌশলের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দুই মারমা তরুণী, দুই সহোদর, উপজাতীয় সহজ সরল প্রাণ নারী। ওদের দাবি, ওদেরকে কেউ ধর্ষণ/নির্যাতন করে নাই, ওদের অভিভাবকরাও ধর্ষণ নামের কলঙ্কতিলক দিতে নারাজ, কিন্তু, রাঙামাটির কতিপয় বিতর্কিত উপজাতি সংগঠন ও দল সেটা মানতে চায় না, তারা বলছে, বিলাইছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর এমবুশ ও অপারেশনেধৃত পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা অপরাধী নয়, অস্ত্র-শস্ত্র, গোলাবারুদ, রীট বিরোধ প্রচারপত্র ইত্যাদি আলামতও ঠিকানায়।
তবে, দুই মারমা তরুনীকে দুই দিন গোপন স্থানে আটকে রেখে দ্রুততার সাথে তাদেরকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি, উপজাতীয় কতিপয় নেতাদের তৎপরতা, দেশি-বিদেশি মিডিয়াতে রং চড়িয়ে ধর্ষণের প্রচারণা, সর্বোপরি গৌতম দেওয়ান ও চাকমা চীফ দেবাশীষ রায়ের দ্বিতীয় স্ত্রী রাখাইন নারী ইয়েন ইয়েনকেও এ কল্পনা ড্রামার মধ্যে জড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ঘটনা হলো, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ৫ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম গঠন করে মারমা দুই বোনের ধর্ষণ অভিযোগটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পেরে জেএসএস ও ইউপিডিএফ ক্যাডাররা ঢাকামুখী প্রচারযন্ত্রকে ব্যবহার শুরু করেছে। যদিও স্থানীয় জেলা প্রশাসন এই ঘটনাকে ডাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে।
প্রথম আলো ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ মারমা দুই বোনের নির্যাতনকারীদের শাস্তি দাবি এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি কালো পতাকায় মারমা বোন ধর্ষণের প্রতিবাদ শিরোনামে আবেগপ্রবন কূটকৌশলী সংবাদ ছেপে মূলতঃ উপজাতীয় রাষ্ট্রদ্রোহী সশস্ত্র সন্ত্রাসী জুমল্যান্ড সিন্ডিকেটকেই আরো বেশী সমর্থন ও উৎসাহ যুগিয়েছে মাত্র।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির এবং সমঅধিকার নারী আন্দোলনের নেত্রী শায়লা জেসমীন হোলেন, রোজী বেগম ও রীমা আখতার সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত একযুক্ত বিবৃতিতে পাহাড়ি নারীদেরকে দিয়ে ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে কল্পনা ড্রামার মাধ্যমে দেশপ্রেমিক নিরাপত্তা বাহিনীকে হেয় করার অপকৌশলের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহী পাহাড়ি সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদার জেএসএস ও ইউপিডিএফ নেতারা পাহাড়ে একাধিপত্য বজায় রাখতে বাংলাদেশ নিরাপত্তাবাহিনীর এমবুশ ও সকল অপারেশনকে দারুনভাবে ভয় পায়। অন্যান্য বে-সামরিক বাহিনীকে নানাভাবে দুর্বল করতে পারলেও বাংলাদেশ নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে খুনী শান্তিবাহিনী ও পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা দারুনভাবে আতঙ্কগ্রস্ত। এজন্যই, বিলাইছড়িতে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা হাতে নাতে ধরা পড়ার পরেও সকল অপারেশনটিকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বানচাল করতে মারমা বোনদ্বয়ের ধর্ষণ নাটক সাজিয়েছে। নিরীহ সরল প্রান পাহাড়ি মেয়েদেরকে ধর্ষণের কলঙ্ক লাগিয়ে উপজাতীয় রাষ্ট্রদ্রোহী সন্ত্রাসীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার ও আত্মরক্ষায় ব্যস্ত বলে সমঅধিকার আন্দোলন নেতৃবৃন্দ এসব প্রচারণায় জাতিকে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ জানিয়েছে।