প্রবল বর্ষণে তলিয়ে গেছে মহেশখালীর কয়েক কোটি টাকার শতশত একর পান বরজ
মহেশখালী প্রতিনিধি:
গত দু’ দিনের বৈরি আবহাওয়া জনিত কারণে প্রবল বর্ষণে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে সদ্য রোপিত মৌসুমি পান চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ধান্য জমিতে মৌসুমি চাষকৃত পান বরজ ডুবে গিয়ে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার হোয়ানক, কালারমারছড়া, শাপলাপুর, বড়মহেশখালী ও ছোট মহেশখালী এলাকায় শতশত একর পান বরজ নষ্ট হয়ে কোটি টাকার ক্ষতির সম্মূখিন হয়েছে পান চাষিরা। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম।
হোয়ানক ইউনিয়নের মাঝের পাড়া থেকে মো আনচারুল করিম জানান, তার নিজের পান বরজসহ ওই এলাকার প্রায় ৩৫-৪০ টি পানের বরজ ঢলের পানিতে তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বিরতিহীন তুমুল বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢলে ছড়ার (খালের) বাঁধ ভেঙ্গে গভীর স্রোতে পান বরজটি ভেসে নিয়ে যায়। ওই এলাকার পান চাষি কৃষক রমজান আলী, আবুল কাসেম, মোহাম্মদ হোসেন, কমল, কাউচার, আলী আসকর জানান তাদের প্রত্যেকের পান বরজ নষ্ট হয়ে গেছে।
হরিয়ার ছড়া এলাকা থেকে রাসেল জানান, তার নিজের একটি পান বরজসহ ওই এলাকার ফোরকান. মো: হোছন, নজরুল, ভূট্রো, সোলতান, ওসমান, মো:শরিফ, সাহেব মিয়া, জালাল, মামুন, নজির আহমদসহ আরো অনেকের পান বরজ নষ্ট হয়ে গেছে।
এছাড়া হোয়ানকের ছনখোলা পাড়া, কালারমার ছড়ার মিজ্জির পাড়া, আঁধার ঘোনা, ছরার লামা, নোনাছড়ি, ছামিরা ঘোনা, নয়া পাড়া, ঝাপুয়া ও উত্তর নল বিলা এলাকার শতশত একর পান বরজ পাহাড়ী ঢল ও জলাবদ্ধতার পানিতে ডুবে ও তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এসব পান বরজের প্রতিটিতে নুন্যতম ২ লাখ টাকা করে ক্ষতি হলে অন্তত ৫ শতাধিক পান বরজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এমতাবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা তাদের সরকারী ভাবে সহায়তা করার জোর দাবী জানান।