প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের অধীনে  সরকারী চাকরী পেয়ে খুশি নাইক্ষ্যংছড়ির ১২ জন

techer-copy

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

‘চাকরীটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো….’ অঞ্জন দত্তের সেই জনপ্রিয় গানের সুরের সাথে তাল মিলিয়ে আনন্দ আর খুশিতে আত্মহারা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ১২ যুবক-যুবতী। শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি তাদের লক্ষ্যের ‘সোনার হরিণ’ সরকারী চাকরী পাওয়ায় ফেইসবুকে এমনটি মন্তব্য লিখছেন তারা।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের অধীনে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্যপদে এ ১২ জনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। গত ৪ মার্চ লিখিত ও ২, ৩, ৪ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে তারা নির্বাচিত হন। ২১ সেপ্টেম্বর বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের ওয়েবসাইটে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। নিয়োগ পাওয়া সহকারী শিক্ষকরা হলেন- লুৎফর রহমান (রোল- ৫৯), আসাদুজ্জামান (২০৮), ছৈয়দুর রহমান (৬৪), লাপাইং তংচঙ্গ্যা (২২৮), উম্মে সালমা (২৮), মাচিংহ্লা চাক (১৩২) ফাতেমা আক্তার (১৫), নাছিমা বেগম (২২৬), লতিফা সোলতানা (১৯৪), লিলিপ্রু মার্মা (১৩২), নাজমা আক্তার (৫৮), মাচিংহ্লা চাক (১৩২)। এছাড়া শিক্ষা বিভাগে উচ্চমান সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সোহেল পাশা (রাল-৫)

আনন্দে আত্মহারা সরকারী চাকুরী পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে লুৎফর রহমান তার ফেইসবুক পেইজে লিখেছেন- ‘চাকরী পেয়ে গেছি’। আসাদুজ্জামান ইফাজ লিখেছে, ‘সামগ্রিক শিক্ষা জীবন, ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবন হতে আমি মানবতার সেবার শিক্ষা গ্রহণ করেছি। আল্লাহ’র অশেষ রহমত ও সকলের ভালবাসা এবং আন্তরিকতায় আমি খুব শীঘ্রই চাকুরী জীবনে পদার্পন করতে যাচ্ছি।’

ছৈয়দুর রহমান লিখেছে, ‘সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আমাকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করায় পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং (এমপি)সহ রাজনৈতিক নেতাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’

শিক্ষা বিভাগের উচ্চমান সহকারী পদে নির্বাচিত সোহেল পাশা লিখেছে, ‘আজ আমার জীবনের একটি স্প্যাশাল দিন। জেলা শিক্ষা বিভাগের উচ্চমান হিসাব রক্ষক নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলাম। একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সাদামাঠা ছেলে আমি। ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ছিল পড়ালেখার অধ্যায় শেষ করে সরকারি চাকরি করব। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে আমার স্বপ্ন পূরন হতে চলেছে।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন