বাংলাদেশে আশ্রয় না পেলে ঝোঁপঝাড় ও নদীতে লাশ হয়ে যেত রোহিঙ্গারা: বনমন্ত্রী
উখিয়া প্রতিনিধি:
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্রবরোচিত নির্যাতনের শিকার হয়ে মুসলিম রোহিঙ্গারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় না পেলে ঝোঁপঝাড় ও নাফ নদীতে হাজার হাজার লাশ পাওয়া যেত। লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মানবতার সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
তাছাড়া ওই সময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দেওয়ার বিকল্প পথ ছিল না। কারণ প্রতিবেশীদেশ হিসেবে বাংলাদেশ মানবতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাচিঁয়েছে। এ রোহিঙ্গা সংকটকে সমাধানের জন্য বাংলাদেশের পাশে বিশ্বের সকল দেশকে এগিয়ে আসা উচিত।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সরকার যে অমানবকি আচরণ করছে তা বিশ্ব সভ্যতাকে হার মানিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে বন উজাড় ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে বনমন্ত্রী বলেন, এই মুর্হুতে এই বিষয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। কারণ মিয়ানমারের সহিংসতার ঘটনায় আমাদের দেশের পরিবেশ যেমন ক্ষতি হয়েছে তাদেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে।
এ সময় তিনি রোহিঙ্গা শিবিরে সেনা মোতায়নের ফলে ত্রাণ বিতরণসহ সকল কাজে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল পরিবিশের প্রশংসা করেন। এ জন্য সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
মন্ত্রী প্রায় দেড় ঘন্টা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সময় কাটান। এ সময় তিনি খোঁজ খবর নেন রোহিঙ্গাদের খাবার, স্যানিটেশন, চিকিৎসা সেবার। মন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন জাতীয় পার্টি জেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক এমপি ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান এএইচ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ।
এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জগলুল হোসেন, কক্সবাজার (দক্ষিণ) বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আলী কবীর, কক্সবাজার (উত্তর) বন বিভাগের কর্মকর্তা হক মাহবুব মোর্শেদ, উপকূলীয় বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।