বাঘাইছড়িতে এসএসসি পরীক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে যুবক আটক

সাজেক প্রতিনিধি:
রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে একজনকে আটক করছে গ্রামবাসী। উপজেলার বঙ্গলতলি ইউনিয়নের উত্তর বঙ্গলতলি গ্রামে শুক্রবার(২ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে শান্তি মোহন চাকমার বাড়িতে এঘটনা ঘটে।

জানাযায়, শান্তি মোহন চাকমার এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে জোরকরে শ্লীলতাহানির চেষ্টাকালে হাতেনাতে একজনকে আটক করা হয়। আটক যুবকের নাম মো. ঈমান আলী (৩৫) সে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার অমরপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র। সে পেশায় একজন রিংওয়েল মিস্ত্রী। এডিবি কর্তৃক বরাদ্দকৃত রিংওয়েলের কাজ করতে সে ঘটনাস্থলে যায়।

বঙ্গলতলি ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞানো কার্বারী জানান আটক যুবক রিংওয়েলের কাজ করতে গিয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায় ফলে তাকে ভিকটিমের বাবা নিজ বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করেন। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে মেয়ের চিৎকার শুনে তার ঘরে ছুটেগিয়ে দেখতে পান আটক যুবক মেয়েকে মুখ চেপে ধরে আছে। তখন তিনি তাকে আটক করে এলাকায় খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং আমি বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি। তিনি পুলিশ পাঠালে তাকে বাঘাইছড়ি থানা পুলিশের হাতে তুলে দেই।

বাঘাইছড়ি থানার ওসি( তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বলেন আমরা অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আসামিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। পরে ভিকটিমের বাবা শান্তি মোহন চাকমা (৪০) বাদী হয়ে মেয়েকে শ্লীলতাহানির কথা উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রচলিত আইন অনুযায়ী একটি মামলা হয়েছে। আগামীকাল সকালে আটক যুবককে রাঙ্গামাটি আদালতে প্রেরণ করা হবে।

ভিকটিমের বাবা শান্তিমোহন চাকমা (৪০) বলেন, আমার মেয়ে এবার বাঘাইছড়ি বিটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। আটক যুবক আমার বাসায় কাজ করতে গিয়েছিলো আমার ছেলেও তার সাথে কাজ করে। শুক্রবার কাজ শেষ করতে রাত হয়ে যাওয়ায় তাকে বাসায় থাকতে দেই। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে তাকে ঘুমানোর ঘর দেখিয়ে দিয়ে আমরা ঘুমাতে যাই। রাত ১১টার দিকে হঠাৎ আমার মেয়ের ঘরে জোরে জোরে শব্দ হলে আমি মেয়ের ঘরে যাই এবং দেখতে পাই মিস্ত্রী আমার মেয়েকে মুখ চেপে ধরে আছে। আমাকে দেখে মেয়েকে ছেড়ে দিয়ে আমার পায়ে ধরে ক্ষমা চায় এবং দা নিয়ে নিজের গলা কেটে ফেলতে চায়। পরে আমার পরিবারের চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে তাকে আটক করে। এখন আমি আমার মেয়ের পরীক্ষা নিয়ে খুব চিন্তিত।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন