বান্দরবানে চাঁদাবাজির মামলায় জনসংহতি সমিতি’র ১৫ নেতাকর্মী জেল হাজতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ১৫ নেতাকর্মীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বান্দরবান আদালত। সোমবার (২০নভেম্বর) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত তিনজনকে জামিনে ছেড়ে দিয়ে অন্যদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, জনসংহতি সমিতি ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ১৮ নেতা-কর্মী চাঁদাবাজির মামলায় সোমবার বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রবাল চক্রবর্তীর আদালতে আত্মসমর্পন করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। আদালত দুজন জনপ্রতিনিধিসহ ৩জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন এবং ১৫জনের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার একই মামলায় দুজনকে জেল হাজতে পাঠনো হয়।

জামিন প্রাপ্তরা হলেন, রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যবামং মারমা, নোয়াপতং ইউপি চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শম্ভু কুমার তঞ্চংঙ্গ্যা।

গত ১৬ নভেম্বর রাজবিলা ইউনিয়নের তাইংখালী বাজারের কাছে চাঁদার দাবিতে মোটর সাইকেল চালক মো. আলিমের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় জনসংহতি সমিতি ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ২৪জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক জলিমং মারমা, ভূমি বিষয়ক সম্পাদক চিংহ্লামং চাক, মৌজা হেডম্যান মংপ্রু মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অজিত তঞ্চঙ্গ্যা, যুব সমিতির সভাপতি মংচ মারমা, হাইনু মং, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা উবাচিং, প্রীতিসেন তঞ্চঙ্গ্যা, বাচিং মং, মস্তু মারমা, পাস্পে বম, মংশৈ মং, বাশো মং, বিষ্ণ চাকমাকে জামিন নামঞ্জুর করে বিকেলে কড়া নিরাপত্তায় কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে জেএসএস নেতারা এ মামলাকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক বলে অভিহিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতা মংপু অপহরণের ঘটনায় জনসংহতি সমিতি ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের অর্ধশত নেতা-কর্মী জামিনে এসে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিতে আবারো জড়িয়ে পড়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন