বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের (ল্যান্ড কমিশন) এক বৈঠক বান্দরবান সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হকের সভাপতিত্বে

কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন) জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিষুকেতু চাকমা, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোমিনুর রশীদ আমিন, রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, বান্দরবান বোমাং সার্কেল চিফ উ চ প্রু এবং খাগড়াছড়ির মং সার্কেল চিফ সাচিং প্রু বৈঠকে অংশ নেন।

কমিশন সূত্র জানায়, বৈঠকে সন্তু লারমাসহ কমিশনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ বিরাজিত ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তিতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার কথা জানিয়েছেন।

বৈঠক শেষে পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) সাংবাদিকদের বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম হল ভূমি সমস্যা। ভূমি কমিশনের কার্যক্রম ধীর গতিতে চলার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ বেড়েই চলেছে। দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে কমিশন কাজ করবে বলে প্রত্যাশা করেন।

কমিশনের চেয়ারম্যান বিচাপতি আনোয়ার উল হক সাংবাদিকদের বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম পর্যায়ে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের ভূমি সমস্যার সমাধান করা হবে। পর্যায়ক্রমে কমিশন অন্যান্য মামলাগুলো বিচার নিষ্পত্তি করবে। কমিশনের কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং ভূমি সমস্যা দ্রুত নিষ্পত্তি লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলায় প্রাথমিক ভাবে জেলা পরিষদ ভবনে দুটি ইউনিট অফিস স্থাপন করে মামলাগুলো করা হবে।

এর আগে ল্যান্ড কমিশন চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ার উল হক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান বান্দরবান সার্কিট হাউজে এলে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন ফুল দিয়ে তাদের স্বাগত জানান।

১৯৯৭ সালে সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির আলোকে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই কমিশন গঠন করে। এটি বিচারপতি আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠক। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কাছে এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৮৮১টি আবেদন জমা পড়েছে। তারমধ্যে বান্দরবান জেলায় ৪ হাজার ৫৬৮টি, রাঙামাটি জেলায় ৯ হাজার ৯৪০টি এবং খাগড়াছড়ি জেলায় ৮ হাজার ৩৭৩টি। এসব আবেদনের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন