‘বাস্তবতা সম্পন্ন কর্মপন্থা নির্ধারণই পারে সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে’
বাস্তবতা সম্পন্ন কর্মপন্থা নির্ধারনই পারে একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। এর অন্যথা ঘটলে কাঙ্খিত সুন্দর জীবন-যাপন কোনদিনই সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার (১১জুন) সকালে রাঙ্গামাটি মৎস্য অফিসের ব্যবস্থ্যপনায় মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মরত ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ৫দিনব্যাপী সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা একথা বলেন।
তিনি বলেন, একজন সঠিক পুষ্টি জ্ঞান সম্পন্ন মানুষই পারে দেশ তথা সমাজের কল্যাণকর পথনির্দেশনা প্রদান করতে। এশিয়া উপ মহাদেশের সর্ববৃহৎ লেক-কাপ্তাই লেক। যার পরিমান ৭২৫ বর্গকিলোমিটার। কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ প্রকল্প শুরুর প্রথমেই যে পাঁচটি মূল সুবিধা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ ছিল তন্মধ্যে মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন ছিল অন্যতম।
সে প্রেক্ষিতে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে যে কয়েকটি প্রশাসনিক বিষয় হস্তান্তর করা হয়েছে তার মধ্যে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এর বিপনন, উৎপাদন এবং পার্বত্য বাস্তবতার নিরিখে এ সমস্ত বিষয়ের উপর যারা নির্ভরশীল হয়ে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সঠিকভাবে জীবন যাপন করতে পারেন তা নিশ্চিত করা একদিক দিয়ে যেমন বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও পশুপালন বিভাগ এবং অন্যদিকে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের যথাযথ ভুমিকা পালন একটি অনস্বীকার্য বিষয়।
তাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেমন তাঁদের দায়িত্ব পালনে সরকারের বিধিবিধান মেনে জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রগঠনে এগিয়ে আসতে তৎপর হতে হবে। তেমনিভাবে জনপ্রতিনিধিবৃন্দ তাদের দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হতে হবে।
রাঙ্গামাটি মৎস্য অফিসের প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত কোর্সে সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন। এ সময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক পবর কুমার চাকমা’সহ মৎস্য অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন।
৫দিনব্যাপী সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ কোর্সে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মোট ২৮জন কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।