ভেদাভেদ ভুলে পাহাড়ি-বাঙ্গালী সম্প্রীতির সেতুবন্ধন গড়ে তোলার আহ্বান
মানিকছড়ি প্রতিনিধি:
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পুরাতন বর্ষকে বিদায় এবং নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে শুক্রবার বিকালে মানিকছড়িতে মারমা জনগোষ্ঠির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
এতে উপজেলার তৃণমূল বড়বিল, বড়ডলু, ময়ূরখীল, ধর্মঘর, গচ্ছাবিল, রাজপাড়া, মহামুনিপাড়া, তিনটহরী থেকে পাড়া কেন্দ্রীক বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুনসহ উপজাতি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে নানা সাজে সজ্জিত নর-নারী, শিশু-কিশোররা অংশ গ্রহণ করেন। ময়ূরখীল, গচ্ছাবিল ও ধর্মঘর থেকে বের হওয়া র্যালির সামনে ঘোড়া এবং ব্যান্ড দল এবং অন্যান্য র্যালিতে উপজাতি সংস্কৃতির অংশ দাবা, ছনের ঘর, লাঙ্গল, জোয়াল, জুম চাষী, কৃষক, জেল সেজে এসেছে শিশু-কিশোররা। এতে র্যালির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
র্যালিতে উপজেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন, সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে.কর্ণেল গোলাম ফজলে রাব্বি পিএসসি, উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা, ইউএনও বিনিতা রানী, অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিব প্রমুখ।
র্যালিটি ধর্মঘর-রাজবাড়ী গেইট-আমতল হয়ে মহামুনি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়েছে। এ সময় সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে.কর্ণেল গোলাম ফজলে রাব্বি পিএসসি, উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক।
জোন অধিনায়ক লে.কর্ণেল গোলাম ফজলে রাব্বি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈসাবি উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের পাহাড়ি-বাঙ্গালীরা নিজেরা একে অপরের সাথে আত্মার-আত্মীয় হয়ে বন্ধনে মিলিত হয়। যেখানে জাতি-ধর্মের কোন ভেদাভেদ নেই, হিংসা নেই। এ যেন পাহাড়ি-বাঙ্গালীর সম্প্রীতির সেতুবন্ধন।
তিনি ভেদাভেদ ভুলে পাহাড়ি-বাঙ্গালীর সম্প্রীতির সেতুবন্ধন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।