মাটিরাঙ্গায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১০ : বিএনপি নেতারা চার ঘন্টা অবরুদ্ধ

07.01.2014_Matiranga i HAMLA News Pic

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় ছড়িড়ে পড়েছে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার উত্তরের কয়েকটি ইউনিয়নে। উপজেলার তবলছড়ি, গোমতি ও বেলছড়ি ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা অব্যাহত রেখেছে সরকারী দলের নেতাকর্মীরা।

অব্যাহত হামলার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে তবলছড়ি ইউনিয়নের শুকনাছড়ি ও মোল্লাবাজার এলাকায় সরকারী দল আওয়ামীলীগের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত: ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্কিত বিএনপির সমর্থকরা নিজেদের ঘরে ফিরতে পারছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তবলছড়িতে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে যাওয়া না যাওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে তবলছড়ি ইউনিয়নের শুকনাছড়ি ও মোল্লাবাজার এলাকায় আওয়ামীলীগ-বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। আহতরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মে.: জয়নাল আবেদীন (৫৫), যুবলীগ নেতা মো. আহাম্মদ আলী (৩০), মো. আইয়ুব আলী (২৮) ও কুদ্দুস মিয়া (২৩)।

অন্যদিকে উপজেলা যুবদল নেতা মো. হেলাল উদ্দিন (৩৭), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. আবুল কাশেম (৬০), যুবদল নেতা মো. মহি উদ্দিন,  আনছার আলী (২৮), মো. হারুন মিয়া (২৬) ও রীমা আকতার (২২) আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম। আহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
 
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সরকারি দলের ক্যাডাররা বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর থেকে ধরে এনে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম। সরকারি দলের নেতাকর্মীরা লাঠি হাতে এলাকায় মহড়া দিচ্ছে বলেও অভিযোগ বিএনপির তৃণমূল এ নেতার।

এদিকে বিকাল পৌনে ছ‘টা থেকে দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশী সহায়তায় মুক্ত হন মাটিরাঙ্গার তবলছড়ি ইউনিয়ন বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ। মুক্ত হলেও পুলিশের উপস্থিতিতেই সরকারদলীয় ক্যাডারদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন যুবদল ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এমন অভিযোগ করে তবলছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, পুলিশের সামনে সরকারি দলের ক্যাডাররা রড ও লাঠি সোঁটা নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে।  

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে তবলছড়ি বাজারে লোহার রড ও লাঠি নিয়ে তবলছড়ি নতুন বাজারে মিছিল বের করে। এসময় তারা বিএনপি সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তাদেরকে বাজার থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় বিএনপি।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চাকমা বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্বাচনের পরদিন থেকেই আমাদের নেতাকর্মীদের উপর চোরাগোপ্তা হামলা করে আসছে। হামলার অংশ হিসেবে বিকালে তারা সংঘবদ্ধ ভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে।

মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাইন উদ্দিন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশী ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
মাটিরাঙ্গায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১০ : বিএনপি নেতারা অবরুদ্ধ

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় ছড়িড়ে পড়েছে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার উত্তরের কয়েকটি ইউনিয়নে। উপজেলার তবলছড়ি, গোমতি ও বেলছড়ি ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা অব্যাহত রেখেছে সরকারী দলের নেতাকর্মীরা।

অব্যাহত হামলার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে তবলছড়ি ইউনিয়নের শুকনাছড়ি ও মোল্লাবাজার এলাকায় সরকারী দল আওয়ামীলীগের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত: ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্কিত বিএনপির সমর্থকরা নিজেদের ঘরে ফিরতে পারছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তবলছড়িতে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে যাওয়া না যাওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে তবলছড়ি ইউনিয়নের শুকনাছড়ি ও মোল্লাবাজার এলাকায় আওয়ামীলীগ-বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। আহতরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মে.: জয়নাল আবেদীন (৫৫), যুবলীগ নেতা মো. আহাম্মদ আলী (৩০), মো. আইয়ুব আলী (২৮) ও কুদ্দুস মিয়া (২৩)।

অন্যদিকে উপজেলা যুবদল নেতা মো. হেলাল উদ্দিন (৩৭), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. আবুল কাশেম (৬০), যুবদল নেতা মো. মহি উদ্দিন,  আনছার আলী (২৮), মো. হারুন মিয়া (২৬) ও রীমা আকতার (২২) আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম। আহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
 
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সরকারি দলের ক্যাডাররা বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর থেকে ধরে এনে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম। সরকারি দলের নেতাকর্মীরা লাঠি হাতে এলাকায় মহড়া দিচ্ছে বলেও অভিযোগ বিএনপির তৃণমূল এ নেতার।

এদিকে বিকাল পৌনে ছ‘টা থেকে দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশী সহায়তায় মুক্ত হন মাটিরাঙ্গার তবলছড়ি ইউনিয়ন বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ। মুক্ত হলেও পুলিশের উপস্থিতিতেই সরকারদলীয় ক্যাডারদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন যুবদল ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এমন অভিযোগ করে তবলছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, পুলিশের সামনে সরকারি দলের ক্যাডাররা রড ও লাঠি সোঁটা নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে।  

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে তবলছড়ি বাজারে লোহার রড ও লাঠি নিয়ে তবলছড়ি নতুন বাজারে মিছিল বের করে। এসময় তারা বিএনপি সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তাদেরকে বাজার থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় বিএনপি।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চাকমা বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্বাচনের পরদিন থেকেই আমাদের নেতাকর্মীদের উপর চোরাগোপ্তা হামলা করে আসছে। হামলার অংশ হিসেবে বিকালে তারা সংঘবদ্ধ ভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে।

মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাইন উদ্দিন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশী ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন