মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বিজিবি নতুন মহাপরিচালক 

ডেস্ক রিপোর্ট:

বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। বর্তমানে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২০ মার্চ) এ সেনা কর্মকর্তার চাকরি জননিরাপত্তা বিভাগে ন্যস্ত করে একটি আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ৭ মার্চ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেনকে সেনাবাহিনীতে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

এদিকে একই আদেশে সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমানের চাকরি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা এতদিন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে তিনি মেজর জেনারেল আবুল হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। অবসরের সময় ঘনিয়ে আসায় গত ৮ মার্চ আবুল হোসেনকে বিজিবি থেকে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

তার ১২ দিন পর মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বিজিবিতে নতুন মহাপরিচালক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হল।

সাফিনুলকে সরিয়ে আনায় একই প্রজ্ঞাপনে চা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে সেনাবাহিনীর আরেক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর (সেনাবাহিনী) এই দুই কর্মকর্তাকে বদলি করে প্রেষণে নিয়োগ/প্রেষণে পদ থেকে প্রত্যাহার করে তার চাকরি জননিরাপত্তা বিভাগ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ন্যস্ত করা হল।

বিজিবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন; অন্যদিকে সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন। চা রোর্ড রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে।

৫১ বছর বয়সী সাফিনুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি চা বোর্ডে যোগ দিয়েছিলেন।

রপ্তানি পণ্য চায়ের বহুমুখী ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়ায় সাফিনুল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও প্রশংসা কুড়ান।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বাংলাদেশ চা প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী চা দিয়ে আচার, প্রসাধন তৈরিতে সাফিনুলের উদ্যোগের কথা বলেন।

ওই অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “চেয়ারম্যান সাহেব (সাফিনুল) চায়ের আচার বানিয়ে আমাকে দিয়ে গেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ততটা ভালো লাগেনি। কয়েকদিন রাখার পর এই দু’তিনদিন আগে আমি আবার ওটাকে একটু টেস্ট করে দেখলাম। এখন দেখি আরে খেতে তো মজাই লাগে।”

১৯৬৬ সালে জয়পুরহাটে জন্ম নেওয়া সাফিনুল ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন। ১৯৮৬ সালে কমিশন পান তিনি।

তিনি মিরপুরের স্টাফ কলেজ থেকে ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ডে স্নাতক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। দেশে ও দেশের বাইরে পেশাগত বিভিন্ন কোর্সেও অংশ নেন তিনি।

এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক সাফিনুল শিকার ও ভ্রমণ পছন্দ করেন; খেলতে ভালোবাসেন গলফ।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন