রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৯৩ বছরেও সরকারীকরণ হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক, পার্বত্যনিউজ :

খাগড়াছড়ির সাবেক মহকুমা শহর রামগড়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ৯৩ বছর পার করলেও এখনো সরকারীকরণ হয়নি। বহুদাবী বহু প্রতিশ্রুতির পরও রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ না হওয়ায় এখানকার মানুষের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল।

১৯৬৪ সালের ২২ মার্চ তৎকালীন মহুকুমা প্রশাসক এবং রামগড়ের স্থানীয় কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির আন্তরিক প্রচেষ্টায় স্থাপিত রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম প্রতিষ্ঠিত নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

১৯৯৫ সালে রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি খাগড়াছড়ি জেলার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয়। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রী সংখ্যা ৮৫০ জন। ছাত্রী সংখ্যার অনুপাতে এখানে রয়েছে শিক্ষক সঙ্কট। এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী এবং পাঠদানের জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষের সমস্যাও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। এ বিদ্যালয়ে উত্তরোত্তর ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষক, কর্মচারী এবং প্রয়োজনীয় শ্রেনীকক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরী হয়ে পড়েছে।

দুর্গম পাহাড়ী এলাকার কথা বিবেচনা করে রামগড় ১৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পরিবহনের জন্য সম্প্রীতি পরিবহন-১ এবং সম্প্রীতি পরিবহন-২ নামে দুটি জীপগাড়ি প্রদান করেছে। যা ছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন স্থানীয় অভিভাবকরা। তাদের মতে, ছাত্রীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা আরো বাড়ানো প্রয়োজন।

এদিকে গেল বছর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার এমপি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু ও শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি সরেজমিনে রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরির্দশন করে বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানসহ বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
 
পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বিদ্যালয়ের  নতুন ভবন নির্মাণ করা হলেও আজও “রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়”-টি সরকারিকরণের মুখ দেখেনি। এ অবস্থায় স্থানীয় রাজনীতিক, শিক্ষানুরাগীমহল “রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়”-টিকে সরকারিকরণসহ বিদ্যালয়ের যাবতীয় সমস্যা আশু সমাধানের দাবি জানিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, পার্বত্য
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন