রোহিঙ্গা পুশব্যাক ঠেকাতে বিজিবি’র সঙ্গে সীমান্ত পাহারায় স্থানীয়রা

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

ভারত থেকে রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক ঠেকাতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয়রা। বিজিবি’র কয়েকজন কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, এক মাসের ব্যবধানে সাতক্ষীরা সীমান্তে রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক ও পাল্টা পুশব্যাক করেছে বাংলাদেশ ও ভারতের পৃথক সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৫৭ রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এর মধ্যে ছিল ২৫ শিশু, ১৯ নারী ও ১৩ জন পুরুষ।

যেসব স্থানে বিজিবির সদস্যরা নেই সেখানে এলাকা ভাগ করে ৮-১০ জন মিলে পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয়রা। এ তথ্য জানান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলারোয়া হিজলদী সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

এই ইউপি চেয়ারম্যান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা জেনেছি, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় রোহিঙ্গাদের এনে জড়ো করে রাখা হয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, সুযোগ পেলেই ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে এপারে পাঠিয়ে দেবে। আমাদের সীমান্ত দিয়ে যেন রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করতে না পারে সেজন্য বিজিবির পাশাপাশি আমরাও পাহারা দিচ্ছি।’

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আফজাল হোসেন ও চন্দপুর ইউপি চেয়াম্যান মনিরুল ইসলাম জানান, লোকবল কম থাকায় বিজিবি তাদের কাছে সহায়তা চেয়েছে বলেই তারাও সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন।

এ খবর স্বীকার করেছেন সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবির পদ্মশাখরা বিওপি কমান্ডার সুবেদার মোশাররফ হোসেন। তার ভাষ্য, ‘আমাদের সদস্য সংখ্যা কম হওয়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সহায়তা চেয়েছি। তাই আমাদের সঙ্গে পাহারা দিচ্ছেন এলাকাবাসীরা।’

সীমান্ত দিয়ে কিছু রোহিঙ্গাকে এ দেশে ঢুকিয়ে দেওয়ায় সরকারের শীর্ষপর্যায়ের নির্দেশে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান কমান্ডার সুবেদার মোশাররফ। একই তথ্য দিলেন সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি’র হিজলদি সীমান্ত চৌকির (বিওপি) নায়েক সুবেদার ওমর ফারুক। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের এদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ। এ কারণে সীমান্তে পাহারা জোরদার করতে এলাকাবাসীর সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।’

সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় স্থানীয়রা বিজিবি’কে সহায়তা করছেন। এমন তথ্য জানালেন সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আরমান হোসেন। সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো গেছে বলে মনে করেন তিনি।

 

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন