আ'লীগ নেতা হত্যা:

রোয়াংছড়িতে আগামীকাল অর্ধদিবস হরতাল

fec-image

আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রোয়াংছড়ি উপজেলায় অর্ধদিবস হরতালের ডাক দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

সোমবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

এসময় বান্দরবানে তারাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মংমং থোয়াই মারমা (৫০) কে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম বেবী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কাজল কান্তি দাশ প্রমুখ।

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: ইসলাম বেবী বলেন, পাহাড়ে তৃনমূলে আওয়ামী লীগ’কে নেতৃত্ব শূণ্য করতে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের হত্যা করা হচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা জড়িত। পাহাড়ে অপহরণ, হত্যা এবং চাঁদাবাজি বন্ধে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগ নেতার হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রোয়াংছড়ি উপজেলায় আধাবেলা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে পাহাড়ে আধিপাত্য বজায় রাখতে জনসংহতি সমিতির অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে একের পর এক আওয়ামীলীগ নেতাদের গুলি করে হত্যা করছে।

প্রসঙ্গত: এরআগে মে’মাসে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নের তাইংখালী বাজারে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সহযোগী সংগঠন যুব সমিতির সদস্য বিনয় তঞ্চঙ্গ্যা (৩৫)কে গুলি করে হত্যা, ঐদিন রাতে রাবার বাগানের শৈলতন পাড়া থেকে পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যা (৩২) যুব সমিতির আরেক কর্মীকে অপহরণ করা হয়। পরেদিন জেএসএস কর্মী পুত্র’কে খুজে না পেয়ে পিতা জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যা (৫২) কে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

একদিন পর আওয়ামী লীগের কর্মী ক্যচিং থোয়াই মারমা’কে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এরপর ২৫’মে বান্দরবান পৌরশাখা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চথোয়াই মং মারমা’কে অপহরণ করে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এরপর ২৫ জুন রোয়াংছড়ি উপজেলায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কর্মী অংথুই চিং মারমা (৩৮) গুলি করে হত্যা করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। পাহাড়ে আধিপাত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এবং মগ লিবারেশন পার্টি (এমএলপি) দুটি গ্রুপের সশস্ত্র সদস্যরা এই হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে দাবি স্থানীয়দের।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অর্ধদিবস হরতাল, রোয়াংছড়িতে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন