লামা সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:
বান্দরবানের লামার দূর্গম এলাকাগুলো সন্ত্রাসীদের অভায়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, হত্যা ও অপহরণ কর্মকাণ্ডে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার লামা উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেএসএস সস্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করতে দূর্গম এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনুঅং চৌধুরী। এ সময় সভায় পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা জামাল, লামা পৌরসভার মেয়র, মো. জহিরুল ইসলাম, লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন, গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাথোয়াইচিং বক্তব্য রাখেন।
বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে লামার দূর্গম এলাকাগুলোতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জেএসএস সন্ত্রাসীদের কারণে দুর্গম এলাকার সাধারণ মানুষ আর নিরাপদে ও শান্তিতে নেই। এর থেকে রেহায় পাচ্ছেনা পাহাড়ে গাছ-বাঁশ আহরণকারী খেটে খাওয়া মানুষগুলোও।
গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাথোয়াইচিং মারমা অভিযোগ করে বলেন, দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে একটি বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ করে দিযেছে সন্ত্রাসীরা। গজালিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িকা স্কুল নামক ওই বিদ্যালয়টির নির্মিত নতুন ভবনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা। অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরাও একই ধরণের অভিযোগ করেন। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে লামা উপজেলা সদর থেকে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানান তারা।
সভায় বক্তব্য রাখেন, লামা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শারাবান তাহুরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদ ইকবাল, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন ও রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রুমার্মা প্রমুখ।