সবার আগে রোহিঙ্গাদের স্বশাসিত অঞ্চল দরকার
পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন থেকে এখনও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। দু’দেশের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হলেও তাদের প্রত্যর্পণের উপযুক্ত সময় এখনও হয়নি। মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার আগে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রয়োজন। সোমবার আলজাজিরাকে এসব কথা বলেন যুক্তরাজ্যের বার্মিজ রোহিঙ্গা সংস্থার প্রধান ও রোহিঙ্গা অধিকার কর্মী তুন খিন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি একটি তামাশা মাত্র। প্রত্যাবর্তন নিয়ে আলোচনার সময় এখনও হয়নি। এর আগে তাদের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
দেশে ফিরলে রোহিঙ্গারা আবারও সেনা নিপীড়নের শিকার হবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তুন খিন। তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন চুক্তিতে রোহিঙ্গাদের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। এ কারণে দেশে ফিরিয়ে নিলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের মতো মৌলিক অধিকার দেয়া হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রমাণ লুকাতে বুলডোজার ব্যবহার করছে সরকার। রাখাইনে সংঘটিত গণহত্যার আলামত ধ্বংসের চেষ্টায় দেশটির সেনাবাহিনী বুলডোজার চালাচ্ছে বলে সোমবার মানবাধিকার পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী আরাকান প্রজেক্টের তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। পত্রিকাটির কাছে আসা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, জঙ্গলের মাটিতে অর্ধ-পুঁতে রাখা তেরপলের অনেকগুলো ব্যাগ। এসব ব্যাগের একটি থেকে অর্ধগলিত পা বেরিয়ে এসেছে।
আরাকান প্রজেক্টের পরিচালক ক্রিস লিওয়া বলেন, ‘আমরা দুটি গণকবরের ব্যাপারে জানি; যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার অপর একটি গণকবর বুলডোজার দিয়ে মুছে ফেলা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, হত্যার আলামত ধ্বংস করা হচ্ছে।’
এদিকে মেডিসিনস সান্স ফ্রন্টিয়ারস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এখনও নাফ নদী পাড়ি দিয়ে প্রতি সপ্তাহে দু’একশ রোহিঙ্গা আসছেন। নতুন আসা উদ্বাস্তুরা বলছেন, তারা মিয়ানমারে অনিরাপদ। তাদেরকে হুমকি দেয়া হয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে হয়রানি করা হয়েছে। ফলে সংকট এখনও পুরোপুরি কাটেনি।
সূত্র: যুগান্তর