সরকার বিজ্ঞান চর্চাকে উৎসাহিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা:
পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শেষ হয়েছে দুই দিনব্যাপী জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলা। বুধবার(৭মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মাটিরাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. খায়রুল আলম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মাটিরাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর মো. মোহতাসিম বিল্লাহ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
মাটিরাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেন এর সঞ্চালনায় মাটিরাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল হাসেম অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞান চর্চায় সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক বলেন, সরকার বিজ্ঞান চর্চাকে উৎসাহিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবেই দেশব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করছে।
সভাপতির বক্তব্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, বিজ্ঞান মেলার পরেও বিজ্ঞান চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য বিদ্যালয় কেন্দ্রিক বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে এসব ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে। তাদের উদ্ভাবন শক্তিকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।
পরে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হকসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
মেধাই সম্পদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবিষ্যত এ শ্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার মেলার উদ্বোধন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ। মেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা ৩২টি প্রজেক্ট উপস্থাপন করে।