সামাজিক সংগঠনের মধ্য দিয়ে বিপদগ্রস্ত তরুণ সমাজের চরিত্র গঠন করতে হবে : ফিরোজা বেগম চিনু

OLYMPUS DIGITAL CAMERA

নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি :

পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেছেন, সামাজিক সংগঠনের মধ্য দিয়ে হতাশা ও বিপদগ্রস্ত তরুণ সমাজের চরিত্র গঠনের করে দেশের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য জনক্যলাণে নিয়োজিত সামাজিক সংগঠনগুলোর পাশে দাঁড়াতে সমাজের সচেতন মহলকে আহবান জানিয়েছেন চিনু। তিনি গতকাল সোমবার রাঙামাটির শহরের তবলছড়ি এলাকার তরুণ সামাজিক সংগঠন আলোর ফুলের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ভুট্টোর সভাপতিত্বে আলাচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল মতিন, রাঙামাটি রেড ক্রিসেন্টের সহ-সভাপতি নুরুল আবচার, দৈনিক রাঙামাটির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সুফিয়া কামাল ঝিমি, সংগঠনের উপদেষ্ঠা আবু সাদাৎ মো. সায়েম, শ্যমিক নেতা আবুল হাসেম, আইএফআইসি ব্যাংক রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ প্রমূখ।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবার হোসেন শিশির এর পরিচালনায় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আলোর ফুলের মহিলা সভানেত্রী শাহিদা আক্তার রাখি, ছাত্র নেতা আলমগীর হোসেন, সংগঠনের কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন ও সালেহ আহমদ।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, বর্তমান তরুণ সমাজ মাদকসহ নানা অপসংস্কৃতির কবলে পড়ে ধ্বংসের পথে। তরুণ সমাজকে ধবংসের হাত থেকে রক্ষা করতে না পারলে, দেশ ভবিষ্যতে নেতৃত্ব্ সংকটে পড়বে। তরুণদের আদর্শ জাতি গঠন করতে হলে আলোর ফুলের মতো সামাজিক সংগঠনের প্রয়োজন রয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি সুন্দর পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন অসাম্প্রদায়িক ও সামাজিক দায়িত্ব সম্পন্ন তরুণ সমাজ। এজন্য সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে।

বক্তারা বলেন, উৎসাহি কিছু তরুণ আজ থেকে পাঁচ বছর আগে সমাজ সেবার লক্ষে অরাজনৈতিক সংগঠন আলোর ফুল প্রতিষ্ঠা করে। এ সংগঠনে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে কোচিং, গণশিক্ষা কার্যক্রমসহ আরো বেশ কিছু সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। সমাজের সচেতন ও বিত্তবানরা এ সংগঠনের পাশে দাঁড়ালে এ সংগঠনের মহৎ কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ কুইজ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন