সুগন্ধ্যা পয়েন্টে উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে চলছে চোর-পুলিশ খেলা, ফায়দা লুটছে তৃতীয় শ্রেণি

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ভ্রাম্যমান আদালত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সুগন্ধ্যা পয়েন্টের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে চলছে চোর-পুলিশ খেলা। ওই এলাকায় অবৈধ স্থাপনাগুলো যতবার উচ্ছেদ করা হচ্ছে ততবার পুনরায় বসানো হচ্ছে। আর এ কাজের মধ্যে সুযোগ নিচ্ছে তৃতীয় একটি শ্রেণি। যারা ফায়দা লুটার জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের গ্রহণযোগ্যতা কমাচ্ছে সাধারণের কাছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, অনেক সময় ভ্রাম্যমান আদালত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার পর পরই পুনরায় অবৈধ স্থাপনা বসানো হচ্ছে। অনেকে আবার সরকারি জায়গা নিজের দাবি করে ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছে। এমনকি মিথ্যা কাগজ-পত্র পর্যন্ত বানিয়ে বিভ্রান্তিতে ফেলছে ভ্রাম্যমান আদালতকে। শুধু তাই নয় ওসব ভূয়া কাগজ পত্রের উপর ভিত্তি করে অনেকে সংবাদ সম্মেলন করছে।

এমনকি মামলার চেষ্টা পর্যন্ত করেছে। আর এসব অপকর্ম চালাতে সক্রিয় রয়েছে একটি দল। যারা অবৈধ দোকান বৈধ বলে বেচা-কেনার মধ্যস্থতা করে। শুধু তাই নয় এ দলটি ভ্রাম্যমান আদালত নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাখে বলে অপপ্রচার চালায় ফায়দা লুটার জন্য।

তাদের বলতে শুনা যায়, তারা চাইলে যে কোন মুহুর্ত্বে মোবাইল কোর্ড করাতে পারে। আর এসব লোকজনই ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালিন অভিযানের সাথে থাকে আর এটা-সেটা বুঝানোর চেষ্টা করে। যাতে লোকজন তাদেরকে একটু আলাদাভাবে নেয়। পরে তারাই এই অপকর্ম চালায় বলে জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল।

সচেতন ব্যক্তি মো. ইমরান হোসেন বলেন, পর্যটন নগরীর সুন্দর্য রক্ষা সবার দায়িত্ব। তাই অবৈধ দখলবাজদের কোনভাবে সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। এব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এর স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।

সুগন্ধ্যা পয়েন্টের ব্যবসায়ী লিয়াকত মিয়া জানান, দখলবাজরা কিভাবে সাহস হয়ে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পুনরায় স্থাপনা তৈরি করতে। এভাবে চলতে থাকলে আইন শৃঙ্খলার গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে। এছাড়া যেসব লোক ভ্রাম্যমান আদালতে নাম বিক্রি করে ফাইদা লুটে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

গতকাল সকালে সুগন্ধ্যা পয়েন্টে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান কালে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিম উদ্দিন জানান, সরকারি জমিতে যেখানে যেখানে স্থাপনা রয়েছে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চলবে। আর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এতে কাউকে সুযোগ দেওয়া হবেনা।

এ সময় হাবির নামে এক ব্যক্তির অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় তিনি আইন প্রয়োগে বাধা দেওয়ায় তাকে আটক করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন