হরতাল সফল করায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও ছাত্র পরিষদ নেতৃবৃন্দের অভিনন্দন
ডেস্ক নিউজ:
রবিউলের প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার, অপহৃত ফাতেমাকে অবিলম্বে ঊদ্ধার ও বিতর্কিত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবীতে সোমবার সকাল-সন্ধ্যা স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালন করায় সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ নেতৃবৃন্দ।
সোমবার খাগড়াছড়ি জেলায় রবিউলের প্রকৃত হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার, বাইল্লা ছড়ি থেকে অপহৃত ফাতেমাকে অবিলম্বে ঊদ্ধার ও খাগড়াছড়িতে বিতর্কিত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল এবং পার্বত্য বাঙালী ছাত্রপরিষদের ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবীতের এ হরতালের আহব্বান করা হয়েছিল।
আজ এক বিবৃতিতে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা এবং পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জি: আলকাছ আল মামুন ভূইঁয়া, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের মহাসচিব এড.এয়াকুবআলী চৌধুরী, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জি: আব্দুল মজিদ এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাহাদাৎ ফরাজি সাকিব সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান।
উল্লেখ্য যে গত ১২/০৯/২০১৭ ইং রোজ মঙ্গলবার,দুপুর ১২ টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় সিন্ধুকছড়ি ইউনিয়ন তৈকর্মা নামক স্থানে মটরসাইকেল সহ রবিউল এর লাশ পাওয়া গেছে। রবিউল পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের গুইমারা উপজেলার নিবেদিত একজন একনিষ্ঠ কর্মী।নিহত রবিউলের বাড়ী গুইমারা উত্তর হাজীপাড়া।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, খাগড়াছড়ির মানুষ আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচীপালন করে মানুষ এটাই প্রমান করেছে যে,পার্বত্য বাসী উপজাতীয়দের কর্তৃক নির্যাতীত ও নি:গৃহীত হচ্ছে, এটা তার নীরব প্রতিবাদ।
বিবৃতিতে,নেতৃবৃন্দ বলেন, বুধবার খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল থেকেই কোন দোকান পাট খোলেনি ,অভ্যন্তরীণ ও দৌড় পাল্লার কোন যানবাহন চলাচল করেনি।রিক্সা, ভ্যান, মোটর সাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন স্বত:ষ্ফূর্তভাবেই বন্ধ ছিল। হরতালের সমর্থনে খাগড়াছড়িতে-ছাত্রনেতা আবদুল মজিদ, লোকমান হোসেন, আসাদ ও নজরুলের নেতৃত্বে পিকেটিং ও মিছিল হয়েছে।
দিঘীনালায় তাহেরুল ইসলাম সোহাগ, নজরুল, শামীম ও রাজু, মহালছড়িতে সাহাদাত হোসেন, বেলাল ও রেজাউল, মাটিরাঙ্গায় রবিউল, জালাল ও আবুবক্কর, গুইমারায়-রাব্বানী, আহাদ ও পংকজ দাস, রামগড়ে-সাইফুল ও রায়হান, সদর উপজেলায়-নিজাম,মিলন ও নয়ন আর পানছড়িতে রোবেল সিকদার এর নেতৃত্বে হরতাল পালন করা হয়।
হরতাল পালনকালে রামগড় উপজেলা বাঙ্গালি ছাত্র পরিষদের দুই কর্মী আহত হয়। তারা হলেন জাকির ও জসিম। আহতরা এখনও রামগড় উপজেলা সদর হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ যারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আহতদের সুচিকিৎসার দাবী জানান।