২৩ জুলাই সালমান শাহ’র মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন

fec-image

প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র ‘অপমৃত্যু মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন’ দাখিলের জন্য আগামী ২৩ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

রোববার বিকেলে সালমান শাহের মৃত্যুর তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পিবিআইয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন: সালমান শাহের অপমৃত্যুর মামলাটি অনেক পুরনো। মামলায় যে সব সাক্ষী করা হয়েছে তাদের অধিকাংশ নির্ধারিত ঠিকানায় না থেকে নতুন ঠিকানায় চলে গেছেন। র্নিধারিত ঠিকানায় সাক্ষীরা না থাকায় তাদের পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। এরপরও তাদের খোঁজার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি না হলেও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকাকালীন রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে সালমান শাহর (চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন) লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।

পরে সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যদিও সালমান শাহ’র স্ত্রী সামিরার দাবি অত্মহত্যা করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধেও সালমান শাহ হত্যার অভিযোগ আনা হয়। শুধু সামিরাই নন সামিরার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও সালমানের মৃত্যুর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ফিল্ম সিন্ডিকেটর আজিজ মোহাম্মদের সাথে সামিরার যোগ সূত্র রয়েছে এমন অভিযোগও করেছেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও বার্তায় কয়েকবার সামিরা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামী রুবিও সালমানকে হত্যার অভিযোগ তোলেন। এই অভিযোগ তোলার পর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে সালমানের বাবার মৃত্যুর পর মা নীলা চৌধুরী বাদী হিসাবে আসেন। তিনি আগের তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন। নীলা চৌধুরী ছেলে সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জনকে তার ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন।

দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা সালমান শাহ হত্যা মামলাটির তদন্ত পুনঃরায় করতে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে র‌্যাবকে দিয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলেও দায়রা জজ আদালতে তা আটকে যায়।

‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে ঢাকাই ছবিতে চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সাথে অভিষেক হয়েছিল সালমান শাহ’র। সোহানুর রহমান সোহানের পরিচালনায় ছবিটি তুমুল হিট হয়েছিল। এরপর মাত্র চার বছর বেঁচে ছিলেন সালমান। আর এত কম সময়ের ক্যারিয়ারে তিনি মোট ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন