৮ দফা দাবির আন্দোলন জোরদার করতে সমঅধিকার আন্দোলনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি:
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের ৮ দফা দাবির আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্যে সাধারণ সভা করেছে সংগঠনটির রাঙামাটি জেলা কমিটি।
শুক্রবার(৩০মার্চ) দিনভর রাঙামাটি চেম্বার অব কর্মাসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সাধারণ সভায় জেলা কমিটির বর্তমান ও সাবেক কমিটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও রাঙামাটি জেলার ১০ উপজেলা থেকে উপজেলা কমিটির নেতৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাধারণ সভায় বক্তাগণ, সম্প্রতি রাঙামাটি জেলায় বিভিন্ন আঞ্চলিক উপজাতীয় সংগঠনগুলো উগ্র কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে এ বিষয়ে যথাযথ প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশ প্রেমিক সেনা সদস্যদের উপর মিথ্যা দোষারোপসহ, দুই পাহাড়ি নারী নেত্রীকে অপহরণ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় নেতৃবৃন্দের উপর একের পর এক হামলা এবং বন্ধুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে উপজাতীয় সংগঠনগুলো প্রশাসনের প্রতি একের পর এক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে। কিন্তু এর বিপরীতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যা পার্বত্য পরিস্থিতিকে অস্থিশীল করার এক গভির য়ড়যন্ত্র।
বক্তাগণ বলেন, উপজাতীয় সংগঠনগুলোর এসব নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে মাঠে বাঙালিদের আন্দোলন সক্রিয় না থাকলে তারা একক কৃতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাবে। তাই সকল বাঙালি সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশপ্রেমের আন্দোলনে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।
সমঅধিকার আন্দোলনের রাঙামাটি জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ইউনুছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সাধারণ সভায়, স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কামাল, বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি নাদেরুজ্জামান, সাগঠনিক সম্পাদক মাওঃ আবু বকর, বাঘাইছড়ির নেতা আবু বকর, বরকলের নেতা জাকির হোসেন, মাহিল্যার হাকিম ওস্তাদ, লংগদু কমিটির আব্দুছ সালাম এবং সদর কমিটির আজিম উদ্দীন আজম।
সাধারণ সভায় সমঅধিকারের ৮ দফা উপস্থাপন করে এই আট দফার ভিত্তিতে দুর্বার আন্দোল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আট দফা সমূহ হলো-পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক বৈষম্যমুলক কালো চুক্তি বাতিল, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের সমঅধিকার নিশ্চিত করা, সেনা প্রত্যাহার বন্ধ করাসহ ইতোমধ্যে প্রত্যাহার করা সেনা ক্যাম্প সমূহ পুণঃস্থাপন করা, উপজাতীয় কোটা বন্ধ করে সকল ক্ষেত্রে পার্বত্য কোটা চালু করা, নিরীহ নিরস্ত্র পাহাড়ি বাঙালির জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আদিবাসী বিতর্ক উস্কে দেওয়া সুশীলদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।
এসকল দাবি আদায়ে শীঘ্রই আন্দোলনের রূপরেখা প্রণয়ন করে কর্মসূচি ঘোষণার জন্য জেলা কমিটিতে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।