অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শুমারি সফল করতে কক্সবাজারে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সরকারের চলমান ‘অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শুমারি’ সফল করতে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সাথে মতবিনিময় ও উদ্বুদ্ধকরণ সভা করেছে জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা।
সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত হিমছড়ি কাইন্দাভাঙা, কলাতলীর শুকনাছড়ি এবং মুজিবনগর এলাকায় পৃথকভাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আরাকানী রোহিঙ্গা শরনার্থী কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত এ সভায় প্রচুর পরিমাণ অনিবন্ধিত আরাকানী রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ করেন।
সভায় শুমারিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুফল নিয়ে খোলামেলা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যানব্যুরো কক্সবাজার স্ট্যাটিস্টিক অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান ও আন্তর্জাতিক অভিভাসন সংস্থা (আইওএম) এর কর্মকর্তা মোবাশশের আলম।
সরকারের এই শুমারি সফল করতে সবাইকে নিবন্ধন কার্যক্রমে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের সবদিক দিয়ে সুরক্ষিত করার অনুরোধ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আরাকানী রোহিঙ্গা শরনার্থী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ছিদ্দিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাঈদ প্রমূখ। এছাড়া সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়সভা আরাকানী রোহিঙ্গা শরনার্থী কল্যাণ পরিষদ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে অবস্থানরত আরাকানি রোহিঙ্গাদের সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা শরণার্থী কল্যাণ পরিষদ’ অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রচলিত নিয়ম কানুন মেনে চলার তাগিদ, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের মনোভাব সৃষ্টি, সর্বোপরী মৌলবাদ জঙ্গীবাদ অসম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত একটি নিরাপদ রোহিঙ্গা সমাজ বিনির্মাণের চেষ্টা করছে তারা।
উল্ল্যেখ, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে প্রাথমিক তালিকা সংগ্রহের কাজ। চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই পাঁচ দিনে সংগ্রীহিত তালিকা যাচাই বাছাই করে মার্চের শেষ সপ্তাহেই চূড়ান্ত হবে শুমারীর কাজ। এই শুমারী কার্যক্রম জাতিসংঘের সার্বিক তত্ত্বাবধানে হচ্ছে।
সভায় সাধারণ রোহিঙ্গরা দারি তুলেন, শুমারী পরবর্তীতে যে পরিচয়পত্র তাদের প্রদান করা হবে তাতে অবশ্যই রোহিঙ্গা জাতিসত্ত্বার পরিচয় থাকতে হবে।