অভাবকে দূরে ঠেলে পানছড়ির দুই মেধাবীর সাফল্য
নিজস্ব প্রতিবেদক পানছড়ি:
অভাবকে দূরে ঠেলে মেধার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে পানছড়ির দুই মেধাবী। পানছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দীপা নন্দী ও লোগাং উচ্চ বিদ্যালয়ের জিদেন চাকমা দু’জনই এবারের অষ্টম শ্রেণিতে টেলেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেছে। তারা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের এবং পিতৃহারা।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলায় মামা-মামির আদরে লেখাপড়া করছে দিপা নন্দী। প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয়ার পরেই বাবা সুভাষ নন্দী সাদা কাগজে দস্তখত রেখে মা-মেয়েকে পাঠিয়ে দেয় বাপের বাড়ি। বছর দু’য়েক পরে তাদের আশ্রয় হয় মামা সঞ্জয় দাশের পানছড়িস্থ ভাড়াটে বাসায়। অদ্যাবধি পর্যন্ত মামা-মামির আদর যত্নেই একের পর এক সাফল্য অর্জন করে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দিপা। মামা-মামি ও বিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্তরিকতার কথা বার বার স্মরণ করে দিপা জানায়, বানিজ্য বিভাগে লেখাপড়া করে ভবিষ্যতে আমি একজন ব্যাংকার হতে চাই।
অপরদিকে জিদেন চাকমা ৪র্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তার বাবাকে হারায়। তার মা অনিতা চাকমা একজন দিনমজুর। ভারত সীমান্ত ঘেঁষা দুধুকছড়া গ্রামে কুপি বাতির নিভু নিভু আলোতে পড়েও সে টেলেন্টপুলে বৃত্তি পায়। অভাবের কারণে জীবনে কোনদিন সে প্রাইভেট পড়েনি। বিজ্ঞান বিভাগে পড়ুয়া জিদেন ভবিষ্যতে একজন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
পানছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও লোগাং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানায়, তারা দুজন অত্যন্ত নিরিবিলি স্বভাবের। লেখাপড়ার প্রতি তাদের প্রচুর আগ্রহ তাছাড়া হাতের লেখাও চমৎকার। বিদ্যালয় থেকে সব ধরণের সুবিধা তাদের দেয়া হচ্ছে। তারপরও এ দুই অসহায় মেধাবীদের সহযোগিতায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার।