আওয়ামী নেতার পাহাড় কাটা চলছেই, রহস্যজনক কারনে নিরব প্রশাসন

bandarban-pic-9-10

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বান্দরবান শহরের অদুরে রোয়াংছড়ি উপজেলার ছাইংগ্যা এলাকায় প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে তৈরি করছে ইটভাটা।

সূত্র জানায়, ছাইংঙ্গ্যা এলাকায় এক সপ্তাহেরও বেশী সময় ধরে ব্যাক্তি মালিকানাধীন পাহাড় কেটে নিচু ভূমি ভরাট করছে ‘এবিএম’ নামীয় ইটভাটায়।

সেপ্টেম্বর মাসের ২৩ তারিখে বিভিন্ন মিডিয়ায় ‘বান্দরবানে ইট ভাটার জন্য প্রকাশ্যে কাটা হচ্ছে পাহাড়’ সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পাহাড় কাঁটা বন্ধ থকে। এবিষয়য়ে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আরো উদ্যামী হয়ে ইটভাটার মালিক পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মিলন শ্রমিকের সংখ্যা দ্বীগুন করে প্রকাশ্য কাটছে পাহাড়। রহস্যজনক কারনে প্রশাসনের নিরব ভূমিকা জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং থানার পুলিশের রহস্যজনক নিস্ক্রিয়তায় করানে আওয়ামী লীগের এই নেতা প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে নিচু ভূমি ভরাট করছে। পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্খা করছে স্থানীয়রা।

মিডিয়ায় প্রকাশের জের ধরে গত রোববার সকালে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা ওমর আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ছাইংগ্যা এলাকার এবিএম ইটভাটায় পাহাড় কাটার দৃশ্যটি সরেজমিন তদন্তে যায়। জেলা শহরের পুলিশ ক্যান্টিন তাজিংডংয়ে ইটভাটার মালিকের সংগে ওই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে গোপন বৈঠক হয়েছে বলে সূত্র জানায়। এরপর থেকে শ্রমিকের সংখ্যা বাড়িয়ে পুরোদমে চলছে মাটি কাটার কাজ।

এবিষয়ে স্থানীয়রা নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়ে আমরা প্রকাশ্য কিছু বললে মিলনের ক্যাডাররা আমাদের মারধরসহ আরো বড় কিছু ঘটাতে পারে। তবে আমরা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন এবং রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তারা আরো বলেন, পাহাড় কাটার কাজে শুধু শ্রমিক ব্যবহার করা হয়নি। ব্যবহার করা হয়েছে স্কেভেটারসহ ভারী যন্ত্রপাতি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ইটভাটার মালিক পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় প্রশাসন বরাবরই নির্বিকার থাকছে। পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তারপরও জেলা প্রশাসন কোন আইনি ব্যবস্থা না নেয়ায় অন্যায়ের প্রতি সমর্থন দিচ্ছেন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ জানানো সত্বেও পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এলাকার সচেতন নাগরিকরা প্রশাসনের নিরবতা সরকারের ভারমূর্তি ক্ষুন্ন করছে বলে অভিযোগ করে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি গ্রহন করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন