ইউপিডিএফ নেতা মিঠুন চাকমা হত্যাকাণ্ডে  প্রতিপক্ষের ১৭ শীর্ষ নেতার নামে পরিবারের মামলা

নিজস্ব  প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র (ইউপিডিএফ) কেন্দ্রীয় নেতা ও খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক মিঠুন চাকমা হত্যাকাণ্ডের ৭দিন পর প্রতিপক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএন লারমা) ও সদ্য গঠিত ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক দলের শীর্ষ ১৭ নেতাকে আসামি করে খাগড়াছড়ির আমলি আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার(৯জানুয়ারি) মিঠুন চাকমার জেঠাত ভাই অনি বিকাশ চাকমা বাদি হয়ে জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। বিচারক খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগপত্রে জেএসএস(এমএন) গ্রুপের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তাতিন্দ্র লাল চাকমা ওরফে মেজর পেলে, একই দলের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা, সহ-সভাপতি ও রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট শক্তিমান চাকমা, সদ্য গঠিত ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক’র আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা, সদস্য সচিব শ্যামল কান্তি চাকমা জলেয়াসহ ১৭জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার অপর  আসামিরাও জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) ও ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক এর নেতা বলে জানা গেছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান আদালত থেকে এবিষয়ে কোন কিছু পাননি বলে জানান।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি শহরের স্লুইচগেট এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন ইউপিডিএফ সংগঠক মিঠুন চাকমা। হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় চার দিন পর পুলিশ অজ্ঞাত ৭-৮জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ৬ জানুয়ারি একটি মামলা দায়ের করেন। মিঠুন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গত ৬ ও ৭ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি জেলায় দুইদিন সড়ক অবরোধ পালন করে ইউপিডিএফ। হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ ৭ দফা দাবিও উত্থাপন করেছে সংগঠনটি। প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করে আসছে। তবে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এ হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে বলছেন, এটি প্রসীতের ইউপিডিএফ’র আভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে হয়েছে।

উল্লেখ, প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১৯ বছর পর গেল বছরের ১৫ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রভাবশালী পাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ ভেঙ্গে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক নামে আরো একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। বিভক্তির পর সংগঠনটির কোন নেতাকর্মী প্রথম হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন