ঈদ উপলক্ষে লক্ষ্মীছড়িতে দু:স্থদের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ

RKnRPZPn copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে আসা ভিজিএফ’র চাল দু:স্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।  ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার এ চাল বিতরণ করা হয়।

জানা যায়, সরকার পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে মুসলমানদের জন্য পরিবার প্রতি ১০ কেজি হারে ৩টি ইউনিয়নে মোট ১ হাজার ৮শ ১৯ টি পরিবারের মাঝে ১৮টন ১শ ৯০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়।

সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নে লাইনে দাঁড়িয়ে পুরুষ মহিলারা চাল গ্রহণ করছেন। লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রবিল কুমার চাকমা জানান, এই গরীবের চাল যাতে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ হয় তা আমি অবশ্যই নিশ্চিত করব। পাশপাশি তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মো: সফিউল ইসলামকে আমার পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক উপস্থিত থেকে তালিকা ভুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি যেন নিয়মমত পায় সেদিকে নজর রাখতে বলেছি। দুল্যাতলী ইউনিয়নে কিছু অনিয়মের খবর পাওয়া গেলেও প্রকাশ্যে কেউ কথা বলতে রাজি হন নি।

এদিকে দুল্যাতলী ইউপি চেয়ারম্যান ত্রিলন চাকমা (দয়াধন) সাংবাদিকদের জানান, সুষ্ঠভাবে সবগুলো কার্ড বিতরণ করা হয়েছে, ৫শ ২৮ টি কার্ড বিতরণ ছাড়াও পরিমাণের চেয়ে বেশি বিতরণ করতে হয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে লক্ষ্মীছড়ি বাজারস্থ্য বর্মাছড়ি ইউনিয়নের অস্থায়ী খাদ্য গুদামে বেলা ১১টায় গিয়েও চাল বিতরণ করার দৃশ্য দেখা যায় নি। প্রায় ৫০জন সুবিধাভোগীদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। লাইনে অন্য ইউনিয়নের লোকজনকেও দেখা গেছে। তদারকি অফিসার ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’র সমন্বয়ক শান্তানু মহাজন বিতরণ স্থলে উপস্থিত হতে পারেন নি তখনো।

এ ব্যাপারে বর্মাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান হরিমোহন চাকমা জানান, তদারকি অফিসার উপস্থিত হতে না পারলেও বিতরণ করার জন্য মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন।

উপস্থিতি কম কেনো সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, উপজেলা সদর থেকে বর্মাছড়ি ইউনিয়নের দূরুত্ব প্রায় ২৫-৩০ কিলোমিটার। তাই ১০ কেজি চালের জন্য এতো দূরে কেউ কেউ আসতে চায় না। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে উপস্তিত জনৈক ব্যক্তি বলে ওঠেন সে ক্ষেত্রে হাঁটের দির রবিবার কিংবা বুধবার দিলে অন্তত বাজার করতে আসা কিছু লোকজন এই সুবিধাটা নিতে পারতো বলে তার অভিমত।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন