ঈদ ও পূজা উপলক্ষে আসতে পারেন দীঘিনালায় রয়েছে তৈদু ও থাংঝাং ঝর্ণা
দিদারুল আলম রাফি, দীঘিনালা থেকে:
মুসলমানদের পবিত্র ঈদ, সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা উপলক্ষে বাড়তি ঈদ ও পূজার আনন্দ উপভোগ করতে আসতে পারেন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালায়। দীঘিনালা উপজেলাটিতে রয়েছে প্রাকৃতিক দুটি ঝর্ণা। বুনো জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত নয়নাভিরাম ঝর্ণা দুটির নাম তৈদুছড়া ও ১০ নম্বর থাংঝাং ঝর্ণা।
ত্রিপুরা ভাষায় ‘তৈদু’ মানে হল ‘পানির দরজা’ আর ছড়া মানে ঝর্ণা। অসাধারণ সৌন্দর্য আর প্রাকৃতিক বৈচিত্রতা এই ঝর্ণাকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। খাগড়াছড়িতে যে কয়টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে তৈদুছড়া ঝর্ণা তাদের মধ্যে অন্যতম।
প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে নিচে পাথুরে ভূমিতে। এখানে পাহাড় আর সবুজ বুনো জঙ্গল’র মাঝে আঁকাবাঁকা পাহাড়ের ভাঁজ দিয়ে বয়ে চলে ঝর্ণার জল। শীতল স্বচ্ছ টলমল জলের কলকল করে ছুটে চলার শব্দে মুখরিত হয় চারপাশ। অন্যসব ঝর্ণার মত এর পানি সরাসরি নিচে পড়ছেনা। পাহাড়ের গায়ে সিঁড়ির মত তৈরি হওয়া পাথুরে ধাপগুলা অতিক্রম করে নিচে পড়ছে।
ঝর্ণার জল আপনাকে সব কিছুই ভুলিয়ে দেবে। তৈদুছড়া ঝর্ণাটিতে পৌঁছতে মোট তিনটি ছোট বড় ঝর্ণা চোখে পড়বে। প্রতিটি ঝর্ণাই ৭০-৮০ ফুট উচ্চতা থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে। এছাড়া ঝর্ণার যাত্রা পথে রয়েছে কয়েকটি জলপ্রপাত।
অপরূপ ১০ নম্বর থাংঝাং ঝর্ণাটি রয়েছে দীঘিনালা উপজেলা ও বাঘাইছড়ি সীমান্তবর্তী হাজাছড়া নামক স্থানে। ঝর্ণাটির স্থানীয় দেয়া দেয়া নাম ‘চিত জুরানি থাংঝাং ঝর্ণা’ বা ‘মন প্রশান্তি ঝর্ণা।’। প্রতিদিন হাজারো ভ্রমণ পিপাসুারা আসছে ঝর্ণাটি দেখতে। প্রায় ৭০-৮০ ফুট উচ্চতা থেকে সরাসরি নিচে পানি গড়িয়ে পড়ছে ঝর্ণা থেকে। ঝর্ণাটি এতই সুন্দর আর দৃষ্টিনন্দন আর ব্যতিক্রম যে কারো আর তর সইবেনা। ঝর্ণাটির অতি নিকটে পুলিশ ক্যাম্প থাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। পাকা রাস্তা থেকে ১০-১৫ মিনিট পথ হাঁটলেই আপনি পেয়ে যাবেন থাংঝাং ঝর্ণা।
এছাড়া অপরূপ দুটি ঝর্ণা ছাড়াও দীঘিনালায় রয়েছে ত্রিপুরা রাজা গোবিন্দ মানিক্য কর্তৃক খনিত দীঘি। রয়েছে মাইনী নদীল উপর ঝুলন্ত সেতু ও প্রাকৃতিক জলপ্রপাত।