উখিয়ার জালিয়াপালংয়ে চলছে পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মযজ্ঞ
উখিয়ার ইনানী বন বিভাগের আওতায় জালিয়াপালংয়ে চলছে পাহাড় কর্তনে মহোৎসব। বিট অফিসারকে ম্যানেজ করে সংঘবদ্ধ মাটি খেকো সিন্ডিকেট সোনাইছড়ি এলাকায় বিশাল বিশাল পাহাড় কর্তন করে বিরান ভুমিতে পরিণত করে যাচ্ছে।
পরিবেশ বাদী সংগঠনের অভিমত যেভাবে একের পর এক সরকারি বনভুমির পাহাড় কর্তন করে মাটি পাচার করা হচ্ছে। পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড প্রকাশ্য চললেও বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের রহস্যজনক ভাবে নিরব ভুমিকা জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, ইনানীর জালিয়াপালং বনবিটের আওতায় সোনাইছড়িতে চলছে পাহাড় বিধ্বংসীর মহোৎসব। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল পাহাড়ের মাটি কেটে দিবারাত্রী ট্রাক ও ডাম্পার যোগে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি ও সরবরাহ করছে। জালিয়াপালং বিট কর্মকর্তা এইচ এম জলিলুর রহমানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় মাটি খেকো সিন্ডিকেট সদস্যরা একের পর এক পাহাড় গিলে খাচ্ছে।
ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান পাহাড় কর্তন বা মাটি কাটার জন্য অবশ্যই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রয়োজন। কিন্তু হেলাল ছাড়পত্র না নিয়েই একের পর এক কিভাবে পাহাড় কর্তন করছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে অবৈধভাবে পাহাড় কর্তন ও বালু উত্তোলন করার অভিযোগে হেলালের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিল।
অভিযোগে প্রকাশ বিট কর্মকর্তা জলিল কে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে সোনাইছড়ি এলাকায় বেশ কয়েকটি বিশাল পাহাড় কর্তন করে মরুভূমি বানানো হয়েছে। বর্তমানে চলছে যেন পাহাড় কর্তনের প্রতিযোগিতা।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, সোনাইছড়িতে পাহাড় কর্তনের বিষয়টি অবগত হওয়ার পর বাধা দিলে জনৈক হেলাল পাহাড় গুলো তার মালিকানা বলে দাবি করেন। আমরা তার কাগজ পত্র বন বিভাগ কার্যালয়ে সংরক্ষণ করেছি।
তিনি আরো বলেন, যে কোন ধরণের পাহাড় কর্তন সম্পূর্ণ অবৈধ। নিজস্ব পাহাড় কর্তন করলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রয়োজন পড়ে।
এদিকে সহকারী কমিশনার ভূমি অভিযান চালিয়ে মাটি ভর্তি ট্রাক সহ এক ব্যক্তিকে আটক করে। ওই সময় পাহাড় কর্তনের অভিযোগে হায়দারকে ১৫ দিনের জেল জরিমানা করা হয়।