উখিয়া তুতুরবিল প্রা: বিদ্যালয়ে সরকারি সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ, তদন্তের দাবি

উখিয়া প্রতিনিধি:

উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন, পরিত্যক্ত ভবনের পুরাতন কাঠ ও ইট গোপনে বিক্রি করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক পরস্পর যোগসাজসে বিদ্যালয়ের সরকারি সম্পদ বিক্রি করে টাকা আত্বসাৎ করছে মর্মে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শিক্ষার্থীর অভিভাবক আব্বাস উদ্দিনসহ অনেকেই। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর অভিযোগের ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে বসে কি করা যায় তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিদ্যালয়ের অভিভাবক কর্তৃক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয় তুতুরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ আলম ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি কবির আহমদ গোপন আতাত করে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় থাকা বিভিন্ন প্রজাতির ৩০টি গাছ কর্তন করে। এছাড়াও পুরাতন ভবনের ১২ হাজার ইট ও পরিত্যক্ত ভবনের গাছ এবং আর.সি.সি পিলার বিক্রি করে দেয়। যার আনুমানিক মূল্য ৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।

অনেক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, সরকারি বিদ্যালয়ের গাছ কিংবা অন্য কোন সম্পদ বিক্রি করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু এখানে তা অমান্য করে সরকারি সম্পদ গোপনে বিক্রি করা খুবই দুঃখজনক।

প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ আলম অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার না করলেও অস্বীকার করেনি। এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের সম্পদ বিক্রি বিষয়টি তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, পরিচালনা কমিটির সভাপতি গাছ বিক্রির টাকা বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা দিয়েছে মর্মে তাকে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে পরিচালনা কমিটির সভাপতি কবির আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় নতুন একটি সাইক্লোন সেন্টার ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এ কারণে আঙ্গিনার বিভিন্ন গাছ কর্তন ও পুরাতন পরিত্যক্ত ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এসব গাছ ও অন্যান্য সামগ্রী প্রকাশ্য বিক্রি করে আয়কৃত টাকা বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা রাখা হয়েছে। সুতরাং টাকা আত্মসাতের প্রশ্নই উঠে না। অভিযোগকারী আব্বাস উদ্দিন বলেন, গোপনে বিদ্যালয়ের সরকারি সম্পদ বিক্রি করে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক পরস্পর যোগসাজসে আত্মসাত করেছে। বিষয়টি তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।

এদিকে গোপনে পানির দামে নিকটতম আত্মীয়দেরকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পরিত্যক্ত ভবনের পুরাতন গাছ ও ইট বিক্রির ঘটনায় সচেতন অভিভাবকের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ও জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন