উজানটিয়া সুতাচুরা সড়কের বেহাল দশা
পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ার উজানটিয়া ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ সুতাচুরা সড়কটি এখন সম্পূর্ণ চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগে সড়কটির জন্য সংস্কার বরাদ্দ এলেও ঠিকাদারের চরম অবহেলার কারণে সড়কটির এ বেহাল দশা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, পেকুয়া উপজেলা এবং উজানটিয়া ইউনিয়নের বিভিন্নস্থান থেকে উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা হচ্ছে সুতাচুরা সড়ক। সুতাচুরা থেকে উজানটিয়া এ এস সিনিয়র মাদ্রাসা পর্যন্ত দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার রাস্তার এখন যে হাল হয়েছে তাতে গাড়ীতো দূরের কথা পায়ে হাঁটা দায় হয়ে পড়েছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে পুরো ইউনিয়নবাসি।
এ সড়কের দুপাশেই অবস্থিত ২টি শিক্ষা প্রতিষ্টান, ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ২টি ওয়ার্ড়। তাছাড়া রয়েছে ২টি বাজার ষ্টেশন, হাজার হাজার একর লবণ ও চিংড়ী প্রজেক্ট এবং একটি নৌকা ঘাট।
এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুরো ইউনিয়নের লোকজনকে ইউনিয়নের সেবা পেতে এ সড়ক দিয়েই পরিষদের আসতে হয়। তাছাড়া উজানটিয়া ইউনিয়নের একমাত্র মাদ্রাসাটি এ সড়কেই অবস্থিত যেটাতে সহস্ত্রাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। তাছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ীও এ সড়কে অবস্থিত।
স্থানীয় অধিবাসি উজানটিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মীর মোশারফ হোসেন টিটু এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, রাস্তাটির বেহল দশার কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও এলাকার লোকজনের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি আরো জানান, শিক্ষার্থীরা ঘর থেকে নতুন কাপড় নিয়ে বের হলে মাদ্রাসায় আসতে আসতে কর্দমাক্ত হয়ে যায়।
৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার হাবিব জানান, এলাকার লোকজন এ সড়ক নিয়ে অনেক বেশি কষ্ট ভোগ করছে। একজন মুমুর্ষ রোগীকে জরুরী মূহুর্তে হাসপাতালে নিতে হলেও এ রাস্তা দিয়ে নেয়ার কোন উপায় নেই।
এ ব্যাপারে উজানটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আজ থেকে ৩ মাস আগে নানা জটিলতায় এমপি কোটার বরাদ্দ থেকে আর আই আই ডি প্রজেক্টের অধীনে এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু ঠিকাদার দিদারুল ইসলাম প্রকাশ দিদার মৌলভীর চরম অবহেলার কারণে ইউনিয়নের এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় এখন উজানটিয়ার হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্র জানায়, ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বিবেচনায় এ সড়কটি সংস্কারের জন্য বর্ষা মৌসুমের আগেই সংস্কার বরাদ্দ দিয়ে টেন্ডার দেয়া হয়। ঠিকাদার প্রাথমিক কাজ শুরু করার পরপরই বর্ষা নেমে আসায় আর কাজ করতে পারেননি। আর তাই সড়কে এ অবস্থা হয়েছে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী হারু বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ৪৮০ মিটারের সুতাচুরা-উজানটিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের জন্য সরকার ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স দিদারুল ইসলাম কাজটি পায় এবং তারা কাজও শুরু করে। কিন্তু এর কয়েকদিনের মধ্যে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে পানি চলে আসায় আর কাজ করা সম্ভব হয়নি। এখন পানি থাকতে থাকতে রাস্তাটির এমন নরম অবস্থা হয়েছে তাতে কাজ করলেও তা বেশীদিন ঠিকবেনা। তবে ঠিকাদার এখন কালভার্টের কাজ করছে। তা শেষ হলে রাস্তার কাজ ধরবে বলে জানান তিনি।